পেকুয়ায় ওসির অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

Exif_JPEG_420

পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট :
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিনের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। গত ২৯ আগস্ট সকাল ১১ টায় পেকুয়া চৌমুহুনী ষ্টশনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, ছাত্রলীগ ও উপকূলীয় প্রেস ক্লাবসহ আরো কয়েকটি সামাজিক সংগঠন পৃথক পৃথক ভাবে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ হল রুমে অবস্থানরত চকরিয়া- পেকুয়া আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ আলহাজ সাফিয়া খাতুন এমপিকে অবগত করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা পেকুয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন। দৈনিক বাকখালীর প্রতিনিধি মোঃ ফারুক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্মারকলীপি প্রদান করে।
        

অভিযোগ উঠেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে পেকুয়া থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন বি-বাড়িয়া জেলার বাসিন্দা  মো: মাঈন উদ্দিন আহমদ। আর পেকুয়া থানায় যোগদান করেই শুরু করেন নানান অপকর্ম। মামলার বাদী-বিবাদীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যেসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা সম্প্রতি এ ওসির অপসারণের জন্য পুলিশের আইজি ও সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন কাজ না হওয়ায় ওসির বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে ফুঁসে উঠেছে পেকুয়ার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পেকুয়া চৌমুহুনীতে ওসির অপসারণের দাবীতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনগুলো।

 পেকুয়া উপজেলার গন মানুষের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে আসা বিভিন্ন জন অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি মাঈনউদ্দিন আহমদ পেকুয়া থানাকে অনিয়ম-দূর্নীতির স্বর্গরোজ্যে বানিয়ে মামলার বাদী-বিবাদীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঘুষ ছাড়া কোন মামলাই নেয়না ওসি। মামলার পরবর্তী বিবাদীদের ডেকে নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাউন্টার মামলা গ্রহন করে হয়রানী সহ অহরহ অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্য ঠিক এই রকম একটি ঘটনা জন্ম দিয়ে বর্তমান ওসি পুরো কক্সবাজারে চাঞ্চল্য ও বির্তকের সৃষ্টি করে। তাই ওসির অপসারণের দাবীতে তাদের বিভিন্ন সংগঠন পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে তিনি জানালেন।
      

এই সাংবাদকর্মী ও সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক বলেন, বিগত কিছু দিন আগে আমার বৃদ্ধ পিতার নিজস্ব ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে ধান রোপন করার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মোঃ ইউসুপের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও মহিলারা মিলে এলোপাতাড়ি দা,কিরিচ,লাটি সোটা নিয়ে হামলা শুরু করলে খবর পেয়ে আমি গিয়ে পিতাকে বাচানো চেষ্টা করলে তারা আমার উপর লাটি ও কিল ঘুষি পেরে চরম আহত করে।

পরবর্তীতে পেকুয়া থানার এস আই শফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত  করে ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা রেকর্ড করে। তার পর পুলিশের অভিযানে ৩ নং বিবাদী ইউসুফকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ঠিক উল্টো ৭ দিন পর রাজনৈতিক এক প্রভাবশালী নেতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে আমাকে ১নং ও মাতা পিতা বোনদের আসামী করে স্ব-প্রনোদিত হয়ে মামলা রেকর্ড করে চরম হয়রানি শুরু করে। তাতে আমার অসুস্থ্য মাতা ও পিতা ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। আমিও এই মিথ্যা মামলায়  ১নং আসামী হওয়ায় সাংবাদিক পেশা থেকে সরে গিয়ে চরম অসহায় জীবন যাপন করছি। যার কারণে আমি আইজি, ডিআইজিসহ আগামী ৩ তারিখ প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্মারকলীপি দিয়ে প্রত্যাহার চাইব।          
অন্যদিকে পেকুয়া থানার ওসি এম, মাঈন উদ্দিন আহমদ দূনীতির বিষয় সম্পূর্ন মিথ্যা। তবে ফারুক ও তার পরিবারের  বিরুদ্ধে করা মামলা আমি প্রত্যাহার করব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন