পেকুয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আ’লীগ নেতাসহ ২১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় ২১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিও রয়েছে। টইটং ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী পরাজিত ৩ প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার এস,আই আল আমিন বাদী হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পেকুয়া থানায় নির্বাচনী সহিংসতায় মামলাটি রুজু করে। মামলার প্রধান আসামি টইটং ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে একই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থী নবীর হোছাইন প্রকাশ নবু মেম্বার। এ ছাড়াও ওই মামলায় ৩নং আসামি করা হয়েছে ইউপি নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মেম্বার প্রার্থী ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি কবির আহমদ সওদাগর, একই ওয়ার্ড থেকে মেম্বার প্রার্থী মধুখালীর মো. আবদুল কাদের ইউসুফসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর টইটং ইউপির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ নিয়ে নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বনকানন বাজারে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে উত্তেজিত লোকজন বনকানন বাজারে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারা হাজিবাজার, বনকানন সড়কে গাছ ফেলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। খবর পেয়ে বিজিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ওই স্থানে পৌঁছে। ঘটনার ২ দিন পর ২১ সেপ্টেম্বর পেকুয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করে।

এ প্রসঙ্গে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৯০ সহ ২১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন