পেকুয়ায় মহিলা ঢুকিয়ে দিয়ে দোকান দখলের চেষ্টা

দখল

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় অভিনব কায়দায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের জন্য মহিলা ঢুকিয়ে দিয়েছে একটি দখলবাজ চক্র। এই দখল ও বেদলকে কেন্দ্র করে পিতা-পুত্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বাজারের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে পেকুয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের সহযোগিতায় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মহিলাকে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেন। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রায় লক্ষাধিক টাকা খোয়া গেছে বলে এর সত্তাধিকারী পুলিশ ও ব্যবসায়ী নেতাদের জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পুর্ব গোয়াখালী এলাকার নুরুল ইসলাম প্রকাশ পুতুন সওদাগরের পেকুয়া বাজারের মালিকানাধীন একটি দোকান নিয়ে তার ছেলে আনোয়ার হোসেনের সাথে বিরোধ চলছে। পুতুন সওদাগর বাজারের শুরু লগ্ন থেকেই জমি কিনে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। গত ২২বছর ধরে দোকানটি শিলখালীর মৌ. মুহিব্বুর রহমানকে ভাড়া দেন। নুরুল ইসলাম প্রকাশ পুতুন সওদাগর জানায়, বিগত ৬৫বছর আগে জায়গা কিনে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, আমার তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে আনোয়ার দোকান ঘরটি নিজের দাবি করে আমাকে উচ্ছেদ করে দখল করার চেষ্টা করছে। ঘটনার দিন রাতে তার স্ত্রী মর্জিনা সুলতানাকে আমার দোকানে ঢুকিয়ে দেয়। জায়গাটি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

ইসলামিয়া লইব্রেরীর সত্তাধিকারী মৌ. মুহিব্বুর রহমান জানায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ আনোয়ারসহ কয়েকজন লোক তার স্ত্রীকে জোর করে দোকানে ঢুকিয়ে দেয়। ওই মহিলা ভিতরে ঢুকে তালা মেরে দেয়। বিষয়টি আমি পুলিশকে জানাই।

পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকতার আহমদ, সেক্রেটারী মো. মিনহাজ উদ্দিন জানায়, অন্যজনের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এভাবে মহিলাকে ঢুকিয়ে দিয়ে ওই ব্যক্তি চরম অন্যায় করেছে। এর আগেও আমরা বাজার কমিটি একাধিক বৈঠক করেছি। জায়গা তার পিতার, সেটি আমরা রায় দিয়েছি।

পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানান খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। দোকান থেকে দীর্ঘ তিন ঘন্টা পর মহিলাকে বের করা হয়েছে। আদালতে মামলা রয়েছে। এখানে আমার হাত দেয়ার ক্ষমতা নেই। উত্তেজনা নিরসনের জন্য দোকানের চাবি বাজার কমিটির কাছে রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন