পেকুয়ায় হামলায় পিতা ও মেয়েসহ আহত ২
কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় পিতা ও মেয়েসহ ২ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জমিজমার বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো দা, কিরিচ নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২ জুন) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতবরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র শাহ আলম (৭০), মেয়ে রুবি আক্তার (৩৫)।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বসতভিটার জায়গা নিয়ে মাতবরপাড়ায় শাহ আলম ও তার আপন সহোদর নুরুল আলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মৃত ছৈয়দ আহমদের বসতভিটার পৈত্রিক অংশ বিভাজন নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে দ্বন্ধের সুত্রপাত হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, মৃত ছৈয়দ আহমদের প্রতিজন ছেলে বসতভিটা থেকে ২৭ কড়া করে সম্পত্তি প্রাপ্ত হন। তবে শাহ আলমকে বসতভিটার জায়গা থেকে কিছু অংশ বঞ্চিত করে। শাহ আলমের ভাই নুরুল আলম প্রাপ্ত অংশের চেয়ে অধিক জায়গা ভোগ দখলে রাখে। এ ছাড়াও শাহ আলমের দু’পুত্র সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ কালু ও মোর্শেদ বসতভিটার অংশ থেকে ১১ কড়া জায়গা রেজিষ্ট্রি নেন। খরিদ অংশ ও পৈত্রিক অংশ বুঝিয়ে পাওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়েছে। এর সূত্র ধরে নুরুল আলম গংদের পক্ষে তার ছেলে মো. শওকত, হারুণ, আরাফাত ও মঈন উদ্দিনের স্ত্রী বুলবুলসহ ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা হামলা চালিয়ে বয়:বৃদ্ধ শাহ আলম ও মেয়ে রুবি আক্তারকে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী দিলোয়ারা বেগম ও ইয়াসমিন আক্তারসহ আরও অনেকে জানান, আমরা বসতভিটায় শাক সবজি আবাদ করেছি। সকালে বসতভিটায় রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার সময় নুরুল আলমের ছেলে শওকত, হারুণ, আরফাত এসে হামলা শুরু করে। তারা ধারালো দা ও লাঠিসোটা নিয়ে বয়:বৃদ্ধ শাহ আলম ও মেয়ে রুবি আক্তারকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে। মূলত প্রাণনাশ চেষ্টা চালিয়েছে তারা। আমরা দ্রুত এগিয়ে না গেলে নিশ্চিত পিতা ও মেয়েকে প্রাণনাশ করা হতো। বসতভিটার ঘিরা বেড়া ভাংচুর করা হয়েছে। পরিমাপ করে জায়গায় আরসিসি পিলার দেয়া হয়েছিল। তারা সে গুলি উপড়ে ফেলেছে। পুকুরে পিলার ও ঘিরা বেড়া ফেলে দেয়। শাহ আলমের ছেলেরা বিদেশ থাকে। এ সুবাধে নুরুল আলম গং পেশী শক্তি দিয়ে জায়গার জবর দখলের চেষ্টায় মেতেছে। আমরা নিরীহ বিধায় তারা অহেতুক আমাদের উপর হামলা ও প্রাণনাশ চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।