পেকুয়ায় ৬ নারীকে কুপিয়ে বাড়ির মালামাল লুটপাট

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ি এলাকায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে চারটি গবাদিপশু সহ ঘরের মালামাল লুট করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাত নারীসহ ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ছনখোলার জুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা হলেন, টইটং ইউনিয়নের আবাদিঘোনা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জুবাইদা (৩৫), মো. পারভেজের স্ত্রী রুমি আক্তার (২০), আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী জয়নাব (৩২), নুরুল আছারের স্ত্রী নূরী জান্নাত (২০), মো. বাবুলের স্ত্রী এনতেহারা বেগম (২৭), শামসুল আলমের স্ত্রী নুর বানু ও ছরওয়ার উদ্দিন (২৭)। একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে জুবাইদা আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করা হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শাকেরা বেগম, রানু আক্তার, রুবি আক্তার, সেতেরা বেগম, ইসমত আরা, ছৈয়দ আলম জানায়, সকালে আবাদিঘোনা এলাকার শফিউল আলম, তার ভাই রবিউল আলম, বাদশাহ, সালাহ উদ্দিন, জয়নাল, দুলামিয়া, পাহাড়িয়াখালী এলাকার আবু মুছা, জমির হোসেন, নেজাম উদ্দিন, আশেকসহ ৪০/৫০ জনের লোক হঠাৎ ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আব্বাস, বাবুল ও শাহাব উদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ভীতি ছড়িয়ে বাড়ি ভাংচুরসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। পুরুষ শুন্য বাড়িতে তারা নারীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। যাওয়ার সময় চারটি গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ মালামাল নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা ভয়ংকর লোক। পাহাড়ি এলাকায় তাদের আধিপত্য রয়েছে। আবাদিঘোনা ও ছনখোলা দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। নীরবে সকল অত্যচার সহ্য করতে হয় পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনের। প্রশাসনও প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের পক্ষে।

আহত কয়েকজন নারী বলেন, আমরা নিরহ। পাহাড়ে আমাদের বসবাস। বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা। যা আছে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের বকাঝকা করেছে। আমরা গবীর বলে কেউ আমাদের কথা শুনছেনা।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়েছি। একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন