বনবিভাগের অভিযানে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ, ৫০ একর জমি উদ্ধার

fec-image

কক্সবাজারের উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিনস্থ নাপিতখালী বনবিটের আওতাধীন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ঘর উচ্ছেদ করে অন্তত ৫০ একর বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করা হয়।

শনিবার (২৩জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় ও সহকারী বনসংরক্ষক সোহেল রানা সার্বিক সহযোগীয় ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বনবিটের বনায়নের জায়গায় বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেন কতিপয় ভূমিদস্যু চক্র। বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ বসতি স্থাপনা তৈরির সংবাদ পেয়ে কক্সবাজার বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে বনায়ন এলাকা থেকে গড়ে তোলা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ৫০ একর বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দখলমুক্ত করা হয়। ফাঁসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন

নাপিতখালী বনবিট কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন, ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা ইলিয়াস হোছাইন, ফাঁসিয়াখালী বনবিট কর্মকর্তা আবুল হোসেন, রে‌ঞ্জের স্টাফবৃন্দ, ভি‌লেজার ও সি‌পি‌জি সদস্যবৃন্দরা অ‌ভিযা‌নে অংশগ্রহণ ক‌রেন।

অভিযানের নেতৃত্বে দেয়া ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা ও ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বিটের বনভূমির জায়গায় অবৈধ দখলদার ঘর নির্মাণ করে বসতি গড়ে তোলেন। সকালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নির্দেশনায় বনবিভাগের কর্মীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে দখল উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ দখলদারকে বনবিভাগের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে অন্তত বনবিভাগের ৫০ একর জায়গা অবৈধ দখলদারমুক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট আইনে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন