বাইশারীর অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল দশা

photo baishari copy
আব্দুল হামিদ:
পাবর্ত্য জেলা বান্দরবানের জনবহুল অধ্যুষিত এলাকা বাইশারী ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাবার নগরী হিসেবে পরিচিত বাইশারীতে পাহাড়ী-বাঙালী মিলে ত্রিশ হাজার লোকের বসবাস রয়েছে। কিন্তু সড়কগুলোর বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় দুর্ভোগের আর শেষ নাই।

শুকনো মৌসুমে কোন রকম যাতায়ত সুবিধা পেলেও বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন কষ্টের আর শেষ নাই। বিশাল ইউনিয়নটি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়তের জন্য রয়েছে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটো রিকসা, টমটম, চাঁদের গাড়ি।

বর্তমানে বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে অধিকাংশ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম এবং উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পুলিশ প্রশাসনের টহল কমে যাওয়ায় সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া চলাচল শুরু হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, এখন চলছে রমজান মাস। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় গাড়ি নিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়া মুসকিল হয়ে পড়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশারী ইউনিয়ন সদর থেকে অথাৎ বাইশারী বাজার থেকে নারিচবুনিয়া পাড়া, আলি মিয়া পাড়া, নতুন চাক পাড়া, চাক হেডম্যান পাড়া হয়ে এবং উত্তর বাইশারী হয়ে থুইলংপাড়া এবং করলিয়া মুরা হয়ে বাইশারী বাজার পর্যন্ত আনুমানিক দীর্ঘ বিশ কিলোমিটার সড়কটির মধ্যে চার কিলোমিটার পর্যন্ত মাঝে মধ্যে ইট বিছানো রয়েছে।

তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মেরামত করা হলে দুর্গম এলাকায় উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করে সাধারণ মানুষ অনেক লাভবান হবে। পাশাপাশি পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য আম, জাম, লিচু, কলা, পেঁপে, কাঁঠাল, জামরুল, রাবার ও লেবু সহ নানা ধরনের ফল-ফলাদি রপ্তানি করে কৃষকদের অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: আলম বলেন, বাইশারীর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো মাঝে মধ্যে অনেক জায়গায় ভেঙে যাওয়ার কারণে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি নয় পুলিশি টহল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সশেস্ত্র সন্ত্রাসীরা আবারো এই জনপদে মাথা চড়া দিয়ে উঠার সম্বাবনা রয়েছে।তাই তিনি জরুরী ভিক্তিতে সড়কগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাছাড়া তিনি এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছেন বলে জানান।

ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন, সড়ক যোগাযোগ বেহাল দশায় পরিণত হওয়ার কারণে সন্ত্রাসীদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এলাকার সচেতন মহল অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য বান্দরবান জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্রগ্রাম বোর্ড প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন