বান্দরবানে ডিসি-ইউএনওসহ ৮জনের বিরুদ্ধে সেই রোজিনার মামলা

fec-image

জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিচার নিষ্পত্তির জন্য গ্রহণ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তের নির্দেশ বেআইনী দাবি করে এবার মামলা করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা আক্তার।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বান্দরবান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করার পর ৬ অক্টোবর বিবাদীদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে যথাক্রমে আবু ইউনুছ, ছৈয়দ নুর, মো: ইসমাইল, আলমগীর, আব্দুল হাকিম, মুহাম্মদ আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে। এদের মধ্যে ১-৬নং বিবাদী অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসেনের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছিলেন। ওই অভিযোগের কারণে বাদী রোজিনা আক্তার ও তার স্বামী সৈয়দ হোসেনের সম্মান ক্ষুন্ন এবং আইনানুগ অধিকার খর্ব হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বিগত সময়ে মাদরাসায় সংঘাত ও অনিয়ম, দুর্নীতির ঘটনা তদন্তের উদ্যোগ নেওয়ায় ইউএনও কে এবং অভিযোগ যাতে বিচার নিষ্পত্তি না করেন সেজন্য জেলা প্রশাসককেও বিবাদী করা হয়েছে মামলায়।

জানা গেছে, আদালতে দায়ের করা অভিযোগে মানহানিকর তথ্য সম্বলিত দরখাস্ত দাখিলের অভিযোগ আনা হয় ১-৬নং বিবাদীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইতোপূর্বে বাদীর স্বামী অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তের জন্য নির্দেশ দান, তদন্ত অনুষ্ঠান বন্ধ এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক ওই অভিযোগ বিচার নিষ্পত্তির গ্রহণ বন্ধের জন্য আবেদন করা হয়।

এদিকে আগামী ৩০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে। ওই দিন বিবাদীদের আদালতে উপস্থিত হয়ে বাদীর আনীত অভিযোগের উত্তর দিতে নির্দেশনা জারি করেছে আদালত।

এদিকে একের পর এক অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসেন নিজের অনিয়ম, দূর্নীতি ঢাকা দিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ। এই প্রসঙ্গে মামলার বিবাদী অবদুল হাকিম, সৈয়দ নুর বলেন- প্রত্যেক নাগরিক আদলতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসেনের অনিয়ম, দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হবে।

তারা আরো জানান- অধ্যক্ষ সৈয়দ ইতোপূর্বে দুটি তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আরো একটি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। সেই তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছে জেনে অধ্যক্ষ সৈয়দ দ্বিতীয় স্ত্রীকে আদালতে মামলাটি করেছে।

মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলীম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান- ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসকের পত্র জালিয়াতি করেও ক্ষান্ত হয়নি অধ্যক্ষ সৈয়দ। মাদরাসার অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনাকে বাদী করে ডিসি, ইউএনওসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা করায় শিক্ষক, অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ সৈয়দ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষকদের সাথে গ্রুপিং তৈরী, ছাত্রদের উষ্কানী দিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের উপর হামলাসহ নানান অভিযোগ করে আসছিল শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মদিনাতুল উলুম মাদরাসা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন