ঘুমধুম সীমান্ত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার

বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে: তোফায়েল ইসলাম

fec-image

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে এসএসসি পরিক্ষা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

এর আগে তিনি উখিয়া পালংখালি আনজুম্মান পাড়া সীমান্ত বালুখালি ক্যাম্প রহমত বিল ও ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতির আগে থেকে অনেক ভালো হয়েছে। সীমান্তের বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পর্যায়ের আলাপ আলোচনা হচ্ছে এবং সহশায় একটি সিদ্ধান্ত আসবে যারা এখানে আসছে তাদেরকে ফেরত দেওয়া জন্য।

কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, সীমান্তেরর পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। আজ পর্যন্ত সীমান্তের অস্বাভাবিক কোন কিছু হয় নাই। সীমান্তের যারা রয়েছেন বিজিবি, তারা তাদের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের কবে নাগাদ পাঠাবো হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তাদেরকে পাঠানো ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যে সহসাই ফলাফল পাবো বলে আশা করছি।

এসএসসি পরিক্ষা বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরিক্ষার মূলকেন্দ্র ছিল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়। এখান থেকে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেখানে চলে যাবে এবং মন্ত্রণালয়ের পর্যায়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ এবং ২ উত্তর ঘুমধুম সেখানে পরিক্ষা হবে।

সীমান্তের পরিস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আইজি নুরী আলম মিনার বলেন, সীমান্তের মূল বিষয়টা হল বিজিবির। তবে আতঙ্কের বিষয়টা যদি বলি সীমান্তের ওপার থেকে গুলির আওয়াজ পেয়েছে এই কারণে। আজকে পরিদর্শনে ঘুরে যতটুকু দেখলাম এত খারাপ পরিস্থিতি আমাদের নজরে পড়ে নাই। তাছাড়া বর্ডার পাশে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে যার কারণে সকাল কিংবা বিকাল পরিবেশ শান্ত থাকে ওই সময়ের গুলির শব্দ পেয়েছে সীমান্তবর্তী মানুষ। তাছাড়া বান্দরবানের আইশৃঙ্খলা ও প্রশাসনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার যৌথভাবে সীমান্তের পরিদর্শন করেছেন। তবে এই মুহূর্তে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলা যায় আর যেটা আছে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেটি বলার আমদের প্রাসঙ্গিক বিষয় নয়।

সীমান্তের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ গুজব। এসব বিষয়ের গোয়েন্দা সংস্থা দেখছে আর ক্যাম্প গুলোকে নজর রাখতে তিনটি ক্যাম্পের আর্মড পুলিশ, এফডি এম ব্যাটালিয়ন তার পাশাপাশি কক্সবাজার ও বান্দরবান পুলিশ। এসব বিষয়ের আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স সাদা ও ইউনিফর্ম পোশাকে নিয়োজিত রয়েছে।আমরা এটা নিয়ে কোন ধরণের আশঙ্কা বা নাশকতার ও থ্রেট এগুলো ফিল করি নাহ। এগুলো স্বাভাবিক চলছে এবং যদি আরো প্রয়োজন হয় আমাদের তথ্য প্রমাণ বা গোয়েন্দা সংস্থা মাধ্যমে সেট করব। আমাদের জানা মতে কোন সন্ত্রাসী প্রবেশ করলে ধরব। যেমন বিজিবি ২৩ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে মামলা দিয়ে আর পুলিশ মামলা নিয়েছে। আমরা এসব বিরুদ্ধে কোন ছাড় নাই।

২৩ জনের বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে ডি আইজি বলেন, মামলা দিয়ে আটককৃতদের জেল হাজতের প্রেরণ করা হয়েছে।পরে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বা রিমান্ড বা যা যা থাকে সেগুলো নিয়মের মাধ্যমে শুরু হবে।

এসময় পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি আইজি নুরী আলম মিনার, উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান, ঘুমধুম চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঘুমধুম সীমান্ত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন