বিয়ে করছেন অকৃতদার রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপর আর একা থাকছেন না কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য,
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি। এখন থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আগামী ডিসেম্বরেই তিনি একলা জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করবেন। অবসান ঘটবে তার ৬৮ বছর বয়সের অকৃতদার জীবনের। আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ এই আওয়ামী লীগ নেতা এত দিন ছিলেন অকৃতদার। শেষ পর্যন্ত অকৃতদার জীবনের অবসান ঘটিয়ে শুরু করতে যাচ্ছেন জীবনের নতুন ইনিংস। এ জন্য তাকে মন্ত্রিপাড়ায় বাসাও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।এমনটাই গুঞ্জনউঠেছে এখন মন্ত্রীপাড়ায় ।

জানা গেছে, একলা জীবনের পুরোটা সময় রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকা রেলমন্ত্রী এবার বিয়ে করছেন এটি নিশ্চিত করেছেন একাধিক মন্ত্রী। গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে তার বিয়ের বিষয় নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, বিয়ে উপলক্ষে এক বা দুই দিনের অনুষ্ঠান করলে হবে না, কমপক্ষে চার দিনের অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বেশ হাস্যরস দেখা দেয়।

মন্ত্রিসভার অন্য একজন সদস্য জানান, রেলমন্ত্রীর বিয়ের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এত দিন ট্রেনের ইঞ্জিন ছিল। এবার ইঞ্জিনের সঙ্গে বগিও যুক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায় বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবাই হাসিতে ফেটে পড়েন।

এদিকে রেলমন্ত্রীর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, মন্ত্রীর কনে দেখার কাজ ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। কনে মন্ত্রীর পূর্ব পছন্দের। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই বিয়ে করবেন সরকারের এই মন্ত্রী। এখন তার নতুন জীবন শুরুর প্রস্তুতি পর্ব চলছে। ওই সূত্রটিও নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপাড়ায় রেলমন্ত্রীর বাসা বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি।

এর আগে মার্চ ০৩, ২০১৪ তারিখে জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম সম্পূরক প্রশ্নে রেলমন্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী রেলের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। রেলের সম্পদ রক্ষায় আপনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আপনি তো চিরকুমার। আশা করি রেলকেও নিজের মতো চিরকুমার হিসেবে রাখবেন।’ জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘সেলিম সাহেব আমাকে চিরকুমার বলেছেন। আমাকে চিরকুমার বলা ঠিক হবে না। আমি আপাতত চিরকুমার।’ 

প্রসঙ্গত ১৯৪৭ সালের ৩১ মে মুজিবুল হকের জন্ম।