নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তারা

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রাউফসহ ১০১ বীরসেনানীর রক্তেগড়া ব্যাটালিয়নটি সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১১ বিজিবির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পালিত হয়েছে। এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন। দুপুরে প্রধান অতিথি বিজিবির কক্সবাজার রিজয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কঠিন মনোবল আর ধৈর্য নিয়ে সীমান্তের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ১১ বিজিবি অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে আসছে। চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র পাচার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সচেষ্ট এ বাহিনী। তিনি বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা আর যে কোন ধরণের অপরাধে বিজিবি সজাগ আছে, থাকতে হবে।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, সীমান্ত পাহারা ও নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ ব্যাটালিয়নের জীবন উৎসর্গকারী শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ একজন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সর্বোচ্চ অবদানের জন্য ৭ (সাত) জন খেতাব প্রাপ্ত গর্বিত বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ছিলেন ১১ বিজিবির একজন গর্বিত সদস্য। তিনি ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধকালে মেশিন গানের অপারেটর হিসেবে রাঙামাটির মহালছড়িতে নৌপথ প্রহরারত ছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ব্যাটালিয়নের সদস্যগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে সর্বমোট ৭৯ জন সদস্য শাহাদৎবরণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানে আভিযানিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই ব্যাটালিয়নের আরো ২১ জন সদস্য শাহাদাৎ বরণ করেছেন । এছাড়া চলতি বছরে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর শহীদ নায়েব সুবেঃ আব্দুল মান্নান বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে চোরাচালান সংক্রান্ত গোপন সংবাদ পেয়ে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ভালুখাইয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বটতলীশিয়া নামক স্থানে টহলরত অবস্থায় গত ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখ আনুমানিক পৌনে ৯টায় বন্য হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে ১১ বিজিবি সূত্র জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ( ১১ বিজিবি) এর ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে বাদ ফজর নামাজের পর মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ইউনিট কোয়ার্টার গার্ডে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করার পরপর অধিনায়কের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে প্রধান অতিথি আগমনের পর প্রীতিভোজে অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রামু সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়নের অধীন অন্যান্য ইউনিটের অফিসারবৃন্দ, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক, অসামরিক সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন