বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেল ১০৮ প্রতিষ্ঠান

fec-image

৩৬টি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন, উইনার এবং মেরিট; এই তিনটি স্থান অর্জন করায় ১০৮টি প্রতিষ্ঠানকে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জমকালো আয়োজনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে পদক তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিটি ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রতিষ্ঠান পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ড (এপিকটা)-২০২২ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বেসিস পঞ্চমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করলো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এক ভিডিও বার্তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ যারা বিজয়ী হয়েছে তারা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইসিটি অস্কার এপিকটা প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, হংকং, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর সাথে লড়াই করবে। আমাদের মেধাবী সন্তানেরা এপিকটা অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন , বর্তমানে দেশের আইসিটি খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান রয়েছে আর বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে আমাদের আইসিটি রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১০৪ কোটি ডলার। আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে এটিকে ৫শ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চাই আর অন্তত ৩০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই। আজ যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ভবিষ্যতে এই লক্ষ্যমাত্রা তাদেরকে নিয়ে পূরণ করা হবে।

আগামীর জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিকে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, বর্তমান বিশ্বে সফটওয়্যার হচ্ছে ভবিষ্যত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন-২০৪১ দিয়েছেন, একটি বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশের; সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে সফটওয়্যার শিল্প থেকে আমাদের রপ্তানী আয়। একই সাথে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পুর্ণভাবে সফটওয়্যার শিল্প নির্ভর হয়ে যাবে।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আজকে ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডে যারা চ্যাম্পিয়ন হবে তারা এপিকটায় যাবে। আমরা তাদের গ্রুম করার চেষ্টা করি। বিগত বছরগুলোতে কয়েকটি ধাপে আমাদের বাংলাদেশি কোম্পানিরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেখানে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে, এবারও এপিকটা’তে আমরা অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসব।

এসময় সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে রাসেল টি আহমেদ আর বলেন, ই-গভর্নেস এর প্রকল্পের কাজ দেশিয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান করে থাকে। সেই কাজে সংশ্লিষ্ট বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানকে যেন স্বীকৃত দেওয়া হয়। যে প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে কাজ করছে সেখানে যেন ঐ প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকে। এতে করে বিদেশেও কাজ পেতে আমাদের জন্য সহজ হয়।

পাশাপাশি দেশের ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং এবং দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বেসিসকে সম্পৃক্ত করার দাবিও জানান রাসেল টি আহমেদ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসীম উদ্দিন, বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এর আহবায়ক রাশিদুল হাসান, প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন