বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে ভাইকে মারধরের ঘটনায় ২ বখাটে আটক

fec-image

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন মনুপাড়া এলাকায় বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে ভাই আব্দুল মোনাফকে এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনায় আরমান ও রায়হান নামের ২ বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস রবিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঘটনাটি অবগত হওয়ার পর শনিবার রাতেই পুলিশের ২টি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে।

অভিযুক্ত আরেকজনের নাম মোহাম্মদ জামাল। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

এদিকে, বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে ভাইকে বেদম মারধর ঘটনাটি কয়েকদিন আগে ঘটলেও শনিবার (১১ জুন) দুপুরে প্রকাশ পায়।

তবে, ঘটনার বিস্তারিত জানা না গেলেও একটি ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুইজন যুবক হাতের লাঠিসোঁটা নিয়ে বেপরোয়া মারধর করছে। বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে সব আঘাতগুলো পড়ছে ভাইয়ের উপরে। দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি মারধরে আব্দুল মোনাফের সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে যে কয়জন মানুষ দেখা যাচ্ছে তারাও উদ্ধারে এগিয়ে যায় নি।

মনুপাড়ার মোহাম্মদ জামাল, রায়হান ও কুলিয়া পাড়ার আরমান ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

হিজাব ও বোরকা পরিহিত ভিকটিম মহিলাটির নাম নাফিসা আক্তার রিমা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, রিমাকে প্রতিদিন স্থানীয় কিছু বখাটে শ্রেণির লোক উত্ত্যক্ত করতো। বারবার একই ঘটনা হতে দেখে এগিয়ে যায় ভাই আব্দুল মুনাফ। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেচক্রের রোষানলে পড়লো ভাই। তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করে ক্ষত-বিক্ষত করে দিল তারা।

ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী বলেন, বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে এভাবে মারধর, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান।

কে এই জামাল?
কিশোর গ্যাং লিডার মোহাম্মদ জামাল। বাড়ি কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল মনু পাড়ায়। চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে ভাই আব্দুল মোনাফকে বেদম মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা তার নেতৃত্বে ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি উপযুক্ত প্রমাণ।
গত ২৫ মে খুরুশকুল রাস্তার মাথা এলাকায় মো. লোকমান হাকিম আজাদ নামের যুবককে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল, মানিব্যাগসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার নেতৃত্বে ছিল এই জামাল

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন