মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি-আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার

fec-image

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে গোলা নিক্ষেপসহ সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনায় আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনী আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে মিয়ানমার। এ ঘটনার তারা বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে এই ব্যাখ্যা দেয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জো ফিয়ো উইন।

পরে বৈঠকের বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে বলা হয়, বৈঠকে উ জো ফিয়ো উইন ব্যাখ্যা করে বলেছেন, আরাকান আর্মি ও আরসা বাহিনী গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সীমান্তরক্ষী পুলিশকে লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। ওই তিনটি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়ে। আরাকান আর্মি ও আরসা ১৭ সেপ্টেম্বরও স্থানীয় সীমান্তরক্ষী পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালায়। সে সময়ও নয়টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়ে।

বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য আরাকান আর্মি ও আরসা বাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ হামলা করছে।

উ জো ফিয়ো উইন এসব ঘটনা এড়াতে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, মিয়ানমার সবসময়ই দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আইন-কানুন মেনে চলে, পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করে।

সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলেও জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মহাপরিচালক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন