মহেশখালীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়, আহত ২০ গ্রেফতার ১১
স্টাফ রিপোর্টার :
মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মি সমর্থকদের মধ্যে সোমবার রাতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত: ২০ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় সমগ্র এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করেছে।
সোমবার রাত ১১ টায় এলাকার পরিস্তিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানায় পুলিশ। মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক জানিয়েছেন পরিস্তিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সূত্র জানায়, ৬ মার্চ রাত ৮ টার দিকে প্রার্থীদের নির্বাচনী মিছিল থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় মিছিল থেকে পরস্পর বিরুধী হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুলের সমর্থকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করে, গুলি চালায় ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী শরীফ বাদশার সিএনজি ভাঙচুর করে।
অপরদিকে প্রার্থী বাবুলের পক্ষের দাবী তাদের মিছিলে হামলা করে অফিস ভাঙচুর করে অনেকজনকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। এঘটনায় এলাকায় তমথমে পরিস্তিতি বিরাজ করে। দু’পক্ষের তা-বে মানুষজন বাধ্য হয়ে বাজার ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। হুড়ুহুড়ি করে নিরাপদে পালাতে গিয়ে অনেক নিরীহ ব্যক্তি আহত হয় বলে সূত্রে প্রকাশ। এদিকে এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৯ জনকে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে আনা আহতরা হলেন আব্দুল মান্নান(৩০) জাগিরা ঘোনা, নুর হোসেন (৩৩) মধুয়ার ডেইল, সোহেল(১৪) জাগিরা ঘোনা, নাহিয়ান(২২) মুন্সির ডেইল, রুবেল(২৮) কুলাল পাড়া, সিরাজুল হক(২৫) সতঘরিয়া পাড়া, মমতাজ উদ্দিন(২৮) জাগিরা ঘোনা, রুহুল আমিন(১৩) বড় ডেইল ও কায়ছার হামিদ(১৮) জাগিরা ঘোনা। মহেশখালী হাসপাতালে আনা আহতদের রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত কয়েক জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
মূলত মিছিলে উস্কানীমূলক স্লোগান দেওয়ার সূত্র ধরেই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানাগেছে। এদিকে ঘটনার পরপরই মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক ও ওসি তদন্ত দিদারুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে পুলিশ বড় মহেশখালী নতুন বাজারে অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ অন্তত: ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।