মাতারবাড়িতে বেড়িবাঁধ কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা, ঝুঁকিতে ৪ হাজার পরিবার

fec-image

মাতারবাড়ি সিঙ্গাপুর প্রকল্প সংলগ্ন বাঁধ রাতের অন্ধকারে কেটে দিয়েছে কিছু দুবৃত্তরা। ১৭ জানুয়ারি  (রবিবার দ্বিবাগত গভীর রাতে) এঘটনা ঘটে।

সরকারের অধিগ্রহনকৃত সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের বাঁধ সংলগ্ন ফার্মঘোনা ও ১৮ ধোন্ন্যা ঘোনা দখল নিতে মাতারবাড়ি কোলপাওয়াররে কতিপয় কয়েকজন কর্মকর্তাকে মোটা অংকের ম্যানেজ করে সিকদার পাড়ার কাসেমের নেতৃত্বে বদরুদ্দোজা, আব্দু রউফ, জাফর আলমসহ কয়েকজন মিলে স্কেভেটার দিয়ে বাঁধ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

এদিকে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে হন্দারাবিল, পূর্বপাড়া, বানিয়াকাটা ও উত্তর সিকদার পাড়ার কয়েক ৪ হাজার পরিবার।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, বাঁধ কেটে দেওয়ায় জোয়ার বা বৃষ্টি হলে বেড়িবাঁধ কাটা অংশে পানি ঢুকে প্লাবিত হবে ঘরবাড়ি। তাই দ্রুত কাটা বাঁধটি বেঁধে দেওয়ার দাবি জানান।

পূর্বপাড়া হন্দারাবিলের বাসিন্দা মকসুদ আহমদ জানান, কয়েকবছর ধরে বাঁধটি সংরক্ষিত থাকায় বর্ষামৌসুমে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। তবে এবারে বাঁধটি কেটে দেওয়ায় পুরা এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এবিষয়ে আব্দু রউফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় আমরা বাঁধটি কেটে দিয়েছি। এতে বর্ষাকালে হাজার হাজার পরিবার প্লাবিত হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাউছার সিকদার, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ফার্মঘোনা ও ১৮ ধোন্নাই চিংড়ি প্রজেক্টটি বেশ কয়েকবছর ধরে আমি পরিচালনা করে আসতেছি। হঠাৎ করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি চিংড়ি ঘেরটি দখল নেওয়ার জন্য কোলপাওয়ারের নাম বিক্রি করে রাতের অন্ধকারে বেড়িবাঁধটি কেটে দিয়েছে। ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, অন্যদিকে বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ায় সিকদার পাড়া, হন্দারবিল ও বানিয়াকাটার কয়েকহাজার পরিবার বর্ষাকালে প্লাবিত হয়ে জনজীবনে চরম দুর্ভোগে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মাতারবাড়ি কোল পাওয়ার নিরাপত্তা প্রধান কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের না জানিয়ে রাতে অন্ধকারে বেড়িবাঁধ কেটে ফেলেছে শুনেছি। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাঁধ বেধে না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন