মানিকগঞ্জে লঞ্চডুবিতে ৬৯ মৃতদেহ উদ্ধার

bbb1-e1424636403158ডেস্ক রিপোর্ট:
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মাঝ পদ্মায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ৬৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ৫৭টি মৃতদেহ। বাকি ১২টি মৃতদেহের পরিচয় মেলে নি।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌসি সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী ম্যানেজমেন্ট সেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, সোমবার ভোর প্রায় চারটার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে তীরে টেনে তুলতে সক্ষম হয়। লঞ্চ ও নদীতে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে ৬৯টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নদীতে কোনো মৃতদেহ ভেসে উঠলে তা উদ্ধারের জন্য আরো কয়েকদিন কিছু উদ্ধার কর্মী কাজ করবে।নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৪টি শিশু রয়েছে।

150223053111_bd_launch_capsize_mostafa_640x360_bbc_nocreditবিকেলে মধ্যে শনাক্ত না হলে অজ্ঞাতপরিচয় ১২টি মৃতদেহ দুইদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হবে। ওই দুইদিনেও শনাক্ত না হলে মৃতদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। দুটি নৌযানের চালকের অপরিণামদর্শী প্রতিযোগিতার কারণেই এ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে উদ্ধার তৎপরতার প্রাথমিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।তবে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনরা দাবি করছেন।ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত ৪১টি মৃতদেহ পাওয়ার তথ্য দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার বিধান বিধান ত্রিপুরা।

রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে সারবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। পাটুরিয়া লঞ্চঘাট শাখার সুপারভাইজার জুয়েল রানা জানান, লঞ্চটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল।তবে এর মধ্যে দুর্ঘটনার পরপরই কিছু যাত্রী সাতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয় বলে তিনি জানান।

তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন