মানিকছড়িতে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন নারী

fec-image

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের নিয়ে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্পে মাশরুম-ভার্মি কম্পোস্ট-মৌচাষ ও ফ্যাশন ডিজাইন-ব্লক বাটিক এই ট্রেডে চলমান ব্যাচসহ ৬০০ অধিক নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। এছাড়াও রাজস্বখাতে নিয়মিত সেলাই প্রশিক্ষণ (ডব্লিউ,টি,সি) চলছে কিশোরী ও গৃহহীদের। এ যেন অসহায় দরিদ্র পরিবার ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সিঁড়ি।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস সহকারী মো. আবু মুসা জানান, দেশব্যাপি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের পরিচালয়নায় নিয়মিত রাজস্বখাতে সেলাই প্রশিক্ষণ (ডব্লিউটিসি) কর্মসূচীর পাশাপাশি মহিলাদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্পে কিশোরী ও গৃহিনীরা প্রশিক্ষিত হচ্ছে।

এই আয়বর্ধক প্রকল্পে মাশরুম-ভার্মিকম্পোস্ট-মৌচাষ ও ফ্যাশন ডিজাইন-ব্লক বাটিক এই ট্রেডে প্রতি ব্যাচে ২৫ জন হিসেবে বর্তমানে দুই ব্যাচে ৫০ নারী ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণে রয়েছে। এর আগে আরও ১২টি ব্যাচে ৫৭০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে কাজ শুরু করেছেন। আয়বর্ধক প্রকল্পের প্রশিক্ষক জার্মান চাকমা ও নন্দিতা তালুকদার চলমান প্রশিক্ষণ পরিদর্শণে নিয়ে প্রশিক্ষিতদের কাজ ও দক্ষতাবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

এ সময় প্রশিক্ষণার্থী জেসমিন আক্তার জানান, আমি মাশরুম চাষ পদ্ধতি শিখছি। মহিলা বিষয়কের এসব আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ নারীদের জন্য সহায়ক ও পরিবারে অতিরিক্ত আয়ের একটা সুযোগ।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, এখানে জনবল সংকট নিয়ে রাজস্বখাতের নিয়মিত সেলাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আয়বর্ধক প্রকল্পে (বিভিন্ন ট্রেডে) ২জন প্রশিক্ষকের তত্বাবধানে বছরে চারটি ব্যাচে ২০০ অসহায়,দরিদ্র নারী/ কিশোরীকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে প্রশিক্ষিতরা নিজ নিজ পরিবারে ছোট ছোট পরিসরে মাশরুম, ভার্মিকম্পোস্ট, ফ্যাশন ডিজাইন ও ব্লক বাটিক (আধুনিক সেলাই) বানিয়ে ও চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চিত্র এখন সমাজে দৃশ্যমান।

তিনি আরও জানান, প্রশিক্ষিতরা ৩ মাসে ৩৬০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে প্রশিক্ষণে দক্ষতার পাশাপাশি দৈনিক ২০০টাকা হাজিরাহ হিসেবে( সন্মানি) পাচ্ছেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) রুম্পা ঘোষ তৃণমূলের সরকারের আয়বর্ধক এসব কর্মসূচীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সমাজ বা ঘরে কাউকে বেকার রেখে পরিবার সুখের হয় না। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আয়বর্ধক প্রকল্পে নারীদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন