মানিকছড়িতে যুবলীগ নেতা নিখোঁজ
মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমান হোসেন (২৮) গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক ৯টায় নিখোঁজ হয়েছে। পুলিশ বাড়ীর অদূরে জঙ্গল থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এদিকে তাকে উদ্ধার জোরদাবী জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
নিখোঁজ ইমান হোসেন এর ছোট ভাই কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন জানান, আমার ভাই ইউনিয়ন যুব লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমান হোসেন একজন সহজসরল ও শান্তপ্রিয় ব্যক্তি। কারো সাথে তার ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কিংবা বিবেধ নেই। কে বা কারা বা কোন উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করল তা জানিনা। তার অক্ষত উদ্ধার চাই। তবে এ ঘটনায় সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে থাকা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সন্দেহ করছে নিখোঁজের পরিবার।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শনিবার রাতে বাজার থেকে ফেরার আগে তার স্ত্রীর সাথে প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের বিষয়ে কথা বলে কেনাকাটা সেরে বাড়িতে রওয়ানা দিলেও সকাল পর্যন্ত ঘরে না আসায় আমরা সারা রাত তার ফোনে ও আত্মীয় স্বজনের নিকট খোঁজ খবর নিয়ে না পেয়ে সকালে বাজারে রওয়ানা দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে বনে মোটর সাইকেল দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করি। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক এবং তিনটহরী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বড়বিল এলাকার মো. রমিজ মিয়ার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে ইমন জ্যেষ্ঠ।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহনূর আলম নিখোঁজের বিষয়ে বলেন, পারিবারিকভাবে বিষয়টি অবহিত হয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গভীরভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ । যদিও এখনো নিখোঁজ ব্যক্তির পক্ষে কেউ লিখিত অভিযোগ করনি।
এদিকে যুবলীগ নেতা নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়ি বড়বিলে আত্মীয়- স্বজন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছুটে যান। এ সময় তার চাচা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন সবাইকে সান্ত্বনা দেন এবং বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসন কাজ করছে বলে সবাইকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেন।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহ- সভাপতি মো. মোকতাদের হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমান হোসেনকে উদ্ধারে জোরদাবী জানিয়েছেন।