মানিকছড়ি খালের ভয়াল ভাঙ্গনে হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রেস্ট হাউজ

fec-image

মানিকছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী জনগুরুত্বপূর্ণ সীমারেখা দিয়ে প্রবাহিত‘মানিকছড়ি খাল’। প্রতিবছর বর্ষায় নদীর পানির স্রোতে খালের ভাঙ্গনে স্কুল-কলেজ-ব্রীজ, সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এবারও খালের ভাঙ্গনে হুমকিরমুখে পড়েছে একাধিক স্কুল ও রেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

গত বছর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রকৌশলীকে প্রকল্প গ্রহণে নিদের্শ প্রদান করেন। দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও আজও আলোরমুখ দেখেনি কোন প্রকল্প। ফলে বর্ষায় ভাঙ্গনের ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বুকছিড়ে প্রবাহিত ‘মানিকছড়ি খাল। যা হালদা উপ-নদী বা শাখা হিসেবে পরিচিত। এর উৎপত্তি গুইমারা উপজেলা হাফছড়ি ইউনিয়নের উত্তর ফকিরনালার পাহাড় থেকে।

এটি মানিকছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী সীমারেখা অতিক্রম করে যোগ্যছোলার আচারতলী গিয়ে হালদা খালে মিলেছে। এই নদীটি প্রতিবছর উপজেলা অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার ক্ষতিসাধন করে চলেছে। যার ফলে বিগত সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা সদরস্থ খালের কিছু স্থানে ব্লক বসিয়েছে।

সম্প্রতি এই খালের পোস্ট অফিস সংলগ্ন সরকারি রেস্ট হাউজ, মেমোরী কিন্ডার গার্টেন এন্ড পাবলিক স্কুল, মানিকছড়ি ইংলিশ স্কুল, মানিকছড়ি বাজারের পূর্বাংশ, তিনটহরী গোদার পাড়, তিনটহরী সরকারি প্রাথমিক স্কুল‘সহ বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশে-পাশে ভয়াল ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রোকন উদ দৌলা মানিকছড়ি উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শণ করেন এবং সঙ্গীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন।

কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আজও এ খালের কোন ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় খালের ভয়াল গ্রাসে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্ট হাউজসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে নতীগর্ভে বিলিন হতে চলেছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, খালের ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে রোধ করতে হলে বড় প্রকল্প দরকার। উপজেলার যৎসামান্য অর্থ খরচ করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গনরোধ সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এলে মানিকছড়ির সরকারি-বেসরকারি ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা স্থায়ীভাবে রক্ষা করা যেত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন