মানিকছড়ি থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার খাড়িছড়া থেকে নিখোঁজ মো. আবদুল কাদের (৪৫)কে উদ্ধারে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এদিকে ব্যবসায়ী নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারে আতংক বিরাজ করছে।

পুলিশ ও পারিবারির সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যোাগ্যাছোলা ইউপির খাড়িছড়া এলাকার মো. তোফায়েল আহমেদ পুত্র মো. আবদুল কাদের (৪৫) একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার পর মো. আবদুল কাদের প্রকাশ মইগ্গা কাদের এলাকার খাড়িছড়া দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। পরে তাঁর আত্মীয়রা খোঁজাখুঁজির পর বুধবার সকালে খাড়িছড়া মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল (নাম্বারবিহীন), জুতা, স্কস্টেপ ও একটি দড়িসহ বেশ কিছু আলামত দেখতে পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সরজমিনে ছুঁটে যায় এবং পরিত্যক্ত মোটর সাইকেল, জুতা, স্কস্টেপ ও দড়ি উদ্ধার করেন।

নিখোঁজ ব্যক্তির ছোট ভাই মো. ইউছুপ মিয়া বলেন, আমার ভাই, নিজস্ব জীপ গাড়ী দিয়ে চা-বাগানে শ্রমিক আনা-নেওয়ায় জড়িত ছিলেন। সে আসলে নিখোঁজ না অপহরণ এ বিষয়ে কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা পর্যন্ত কাদের উদ্ধার কিংবা তাঁর কোন খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারে আতংক নেমে এসেছে। নিখোঁজে বিষয়টি দীর্ঘায়িত ও ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামত দেখে এটিকে অপহরণ বলে সন্দেহ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. মোকতাদীর হোসেন। ফলে তাঁরা আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মো. আবদুল কাদেরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে প্রশাসনকে সময় দিয়েছে। না হলে মানববন্ধন, অবরোধসহ হরতালের মত কঠিন কর্মসূচীর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সংগঠনের মানিকছড়ি উপজেলা সমন্বয়ক মো. সাহাব উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে

এদিকে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম, এ প্রসঙ্গে বলেন, খাড়িছড়া এলাকার মো. আবদুল কাদের মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়।

পারিবারিকভাবে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সরজমিনে যায় এবং মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে পরিত্যক্ত অবস্থায় নিখোঁজ ব্যক্তির ব্যবহৃত মোটরসাইকেল (নাম্বারবিহীন), জুতা, স্কস্টেপ ও একটি দড়ি পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা (পুলিশ ও সেনাবাহিনী) গভীরভাবে খতিয়ে দেখে তাঁর সন্ধানে কাজ করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন