মেট্রোরেল স্টেশনে সাংবাদিক লাঞ্ছনায় ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ

fec-image

রাজধানীর শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্যের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরাম।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ২টায় রাজধানী শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই আনসার সদস্যের নাম আছলাম সরদার। তিনি মেট্রোরেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সে লাঞ্ছনার ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোরামের পক্ষ থেকে সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত আনসার সদস্যকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মেট্রোরেলের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আনসার সদস্য মামুনসহ দুই সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনেই তেড়ে আসেন। বুম কেড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে দুই সাংবাদিককে লিফটের ভেতরে ঢুকিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রুমে যেতে হবে বলে নিয়ে যান। এরপর দায়িত্বরত কর্মকর্তা আনসার সদস্যকে থামিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই আনসারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ এসেছে। ব্যবস্থা নেবো। অভিযুক্ত ওই আনসার সদস্যের নাম আছলাম সরদার। তিনি মেট্রোরেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক মামুন সোহাগ বলেন, অফিসিয়াল অ্যাসাইনমেন্টে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে যাই ভিডিও স্টোরি করার জন্য। দুই বছর আগে এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে ভায়াডাক্টের ওপর চলে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি মেট্রোরেলের টয়লেট ব্যবহারে টিকিট সিস্টেম শুরু হওয়াতে অনেক যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেক টেলিভিশন পত্রিকায়ও রিপোর্টও হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন করতে গেলে বুম হাতে, ভিডিও করতে দেখেই আছলাম সরদার নামে এক আনসার সদস্য আমার ওপর তেড়ে আমার কাজের সামগ্রী কেড়ে নেয়। তারপর ধাক্কা দিয়ে লিফটের ভেতরে ঢুকিয়ে বলে- ‘যেতে হবে, বসেরা কথা বলবে। শুধু আমাকেই না, আমাদের সময়ের আক্তারুজ্জামানের কাঁধে ধাক্কা দিয়ে বলে এসব বাদ দেন। যা বলি তাই হবে।’

হামলার শিকার হওয়া আকতারুজ্জামান জানান, মেট্রোরেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছিল কয়েক দিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন ভিডিও প্রতিবেদন করতে যাই আমি। মেট্রোরেলের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করা দু একজনের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ একজন এসে ধাক্কা দিয়ে বলে কিসের ভিডিও করছেন। তাকিয়ে দেখলাম আনসার সদস্য। তাকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সত্ত্বেও আমাকে ও সমকালের রিপোর্টার মামুন সোহাগকে শাসিয়ে যান। কাজ শেষে আমরা বের হওয়ার সময় তিনি আবারো অশালীন মন্তব্য করেন। এমন সময় আমরা কোন ভুল করেছি কিনা প্রশ্ন করলে তেড়ে আসানে আমাদের দিকে। বুম কেড়ে নিয়ে টেনে হিজড়ে লিফটে উঠানো হয় আমাদের। এরপর নিচে কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন