মেয়েদের জন্য একটা আউটসোর্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান নুসরাত জাহান

সম্প্রতি ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ সর্বমোট ১০০ জনকে আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বেসিস। ৪ টি পৃথক ক্যাটাগরিতে ১০০ টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করতে হয়। এর মধ্যে ১৫ টি সেরা আউটসোর্সিং কোম্পানি, ১৮টি ব্যক্তি পর্যায়ে, ৬৪ টি জেলার ৬৪ জনকে জেলা ভিত্তিক সেরা আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড এবং ৩ জন নারীকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।বেসিস এবারের ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’-এ এই প্রথম ৩ জন নারীকে পুরষ্কার প্রদান করে।  বেসিস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো নারীদের এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। প্রথম বার পুরষ্কার লাভ করেন নুসরাত জাহান, ইমরাজিনা ইসলাম ও শাহরিনা ইয়াসমিন। অভিনন্দন ৩ সেরা নারী ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ বিজয়ীকে। নসিরাত জাহান তাদের একজন।

‘হাই স্কুলে পড়া অবস্থায় মামা আমাকে প্রথম একটি ল্যাপটপ কিনে দেন। তখন থেকে আমি ল্যাপটপের প্রেমে পরি। সে সময় ল্যাপটপে তেমন কিছুই করতাম না। কিন্তু প্রযুক্তির কাছাকাছি থাকা শুরু তখন থেকেই । আউটসোর্সিং-এর কাজ শুরু করি ২০১০ সালে থেকে। কাজ শুরু করার আগে এই ক্ষেত্রটি সম্পর্কে খুব বেশী ধারনা ছিলো না। এক বন্ধুর অনুপ্রেরণায় এই বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমি প্রথম ওডেস্কে রেজিষ্ট্রশন করি। রেজিস্ট্রশন করার প্রায় দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রথম কাজ পাই। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওডেস্কের পাশাপাশি বর্তমানে আমি ইল্যান্সে কাজ করছি। এছাড়া ক্লায়েন্টে সাথে সরাসরি কথা বলে ওয়েব ডেভলমেন্টের কাজও করে থাকি। প্রথম কাজটা ছিলো এসইও। প্রথম কাজেই বেশ ভালো ভাবেই শেষ করি। এখন আমাকে ক্লায়েন্ট ইচ্ছে করেই কাজ দেয়। এখন আমি অনেক সময় বিড না করেও কাজ পাই।

প্রথমে দিকে কাজ করতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। সেই রকম কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে যাদের কাজ করতাম তাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে প্রথম দিকে কিছু সংকোচ বোধ করতাম। এখন অবশ্য তা কেটে গেছে। একেই সঙ্গে বাসায় থেকে এই কাজটি প্রথম প্রথম খুব ভালোভাবে গ্রহণ করে নাই। এখন মা বেশী সময় ল্যাপটপের সামনে ফেসবুকে বসে থাকলে বা সিমেনা দেখলে মাঝে মাঝে বকা দেন। এ কথা আমি জোর দিয়েই বলতে পারি, আমার বাসা থেকে আমি অনেক সাহায্য পেয়েছি।

 

অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অনুভূতি তো অনেক ভালো।

আউটসোর্সিংয়ে পুরষ্কার পেলেও পেশা হিসাবে আউটসোর্সিং করা ইচ্ছে আপাতত নেই। ফার্মেসিতে যখন পড়াশোনা করেছি তখন ফার্মেসি নিয়ে কিছু করা ইচ্ছে আছে। একেই সঙ্গে আউটসোর্সিং তো করবোই। আমি ভবিষ্যতে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো, যেখানে শুধু মেয়েরা কাজ করবে। মেয়েদেরকে কাজ শিখাবো এবং মেয়েরা সেখানে কাজ করবে।

 

 

 

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন