যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের জমকালো পুনর্মিলনী
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান”যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়”এর (১৯৮২-২০২২) প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে পুনর্মিলনী-২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের জোর দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিনব্যাপি জমকালো আয়োজনে ৫শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বৃক্ষরোপন, স্মৃতিচারণ, মধ্যাহ্নভোজ, অতিথিবরণ, আলোচনা ও সন্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রিয় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ মাতিয়ে তুলেছেন গত ৪ দশকের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পুনর্মিলনী কমিটির আহবায়ক এটিএম মাসুদের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন ছাত্র ও পুনর্মিলনী-২২ আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহেদুল আলম মাসুদের সঞ্চালনায় বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা ও সন্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন।
অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন , থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহনুর আলম, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আতিউল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক ও সাবেক প্রধান শিক্ষক সুখেন্দু বিকাশ দে, ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.কে. আজাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. হাফেজ আহমেদ, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।
প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক মো. সাহাব উদ্দিন, যুগ্ন সচিব মো. আবুল বশর, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক মো. জাহেদুল আলম মাসুদ, প্রাক্তন ছাত্র মো. সাহাব উদ্দীন বলেন, সেই ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠ আমাদেরকে আলোকিত করলেও দীর্ঘ ৪ দশকে এই জনপদ শিক্ষায় আশানুরুপ অগ্রগতি হয়নি! এলাকায় পূর্ণাঙ্গ একটি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। নচেৎ এলাকা উন্নয়নে আমরা পিছিয়ে পরবো।
পরে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চ্যানেল আই’য়ের ক্ষুদে শিল্পি আয়েশাসহ অনেকে গান পরিবেশন করেন।