রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, আহত ২

fec-image

বন্দুকযুদ্ধস্টাফ রিপোর্টার:

রাঙামাটির ঘাগড়া এলাকায় পার্বত্য চট্টগাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাঁচ শাতাধিক রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলিবিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে। এতে একজন নিহত ও অন্তত দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাত জেলার ঘাগড়ার চেলাছড়া এলাকায় উভয় পক্ষের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্য রাতে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙামাটি জেলার ঘাগড়ার চেরাছড়া এলাকায় পার্বত্য চট্টগাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর দু’সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধ বুধবার ভোর পর্যন্ত চলে। এসময় রাসেল চাকমা (৩২) নামে জেএসএস’র এক নেতা নিহত অজ্ঞাত আরো দু’জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।আহতদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে মধ্যরাতে দূর্গম পাহাড়ে গুলির শব্দে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। শেষ রাতে গোলাগুলির শব্দ কিছুটা কমলেও সকাল থেকে থেমে থেমে ফের গুলি চলতে থাকে। সকালে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গা মানুষগুলো আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। সকাল ১০ টা পর্যন্ত চলা গোলাগুলির কারণে পুরো এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।

জেএসএস কাউখালী উপজেলা সভাপতি সুভাস চাকমা জনান, ‘ঐ এলাকাটি ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকা। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এঘটনায় জেএসএস’র কোন সম্পৃক্ততা নাই। জনসংহতি সমিতি সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’

ইউপিডিএফ নেতাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয় নি।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মনু ইমতেয়াজ সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পার্বত্যনিউজ কে জানান, খবর পেয়ে তাঁর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে কোন লাশ পাওয়া যায় নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন