রাঙামাটিতে কয়েকদিনের ব্যবধানে করোনায় মৃত্যু ৫

fec-image

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমনকি দুর্গম এলাকাগুলোতে করোনা গ্রাস করছে। আক্রান্তের দিক দিয়ে যা জাতীয় হারের চেয়ে বেশি। আক্রান্তের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটিতে করোনায় মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে কাউখালী উপজেলায় একজন, লংগদু উপজেলায় একজন, বিলাইছড়ি উপজেলায় একজন, রাঙামাটি সদরে একজন মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাপ্তাই উপজলোর বাসিন্দা বেবী আক্তার (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালে রাঙামাটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন। চলতি বছরের শুরুতে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়লেও সম্প্রতি সময়ে রাঙামাটিতে ১১জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৭জন।

জেলায় করোনা আক্রান্তের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলার মধ্যে অন্যতম হলো- রাঙামাটি সদর, কাউখালী উপজেলা, কাপ্তাই উপজেলা, লংগদু উপজেলা এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানানো হয়- সোমবার (২ আগস্ট) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রাঙামাটি পিসিআর ল্যাব ও এন্টিজিনায় ২৭২জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮২জনের পজেটিভ আসে। আক্রান্ত ৮২জনের মধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ২৮জন, কাপ্তাই উপজেলায় ৪১জন, কাউখালী উপজেলায় ০৭জন, বিলাইছড়ি উপজেলায় ০২জন এবং লংগদু উপজেলায় ০৪জন। সংক্রমণের হার ৩০.১৫% পার্সেন্ট।

রাঙামাটিতে এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৯৬ জন, সুস্থ্য হয়েছেন দুই হাজার ১৬৮ জন। রাঙামাটিতে মোট মারা গেছেন ২৭জন। জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছেন ১৭ হাজার ১০৫ জন। এরমধ্যে নেগেটিভ এসেছে ১৪ হাজার ১০৯জনের। করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৩হাজার ৪১৩জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯ হাজার ১৩৭জন।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম থাকলেও আক্রান্ত ব্যক্তি কোয়ারেন্টিন না মেনে হাট-বাজারে ঘুরাঘুরি এবং পরিবারের সংমিশ্রণে আসছে। যে কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে যদি কোনরূপ ভাবে মানুষ সচেতন না হয় তাহলে পাহাড়ের বাসিন্দাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা বলেন, মানুষ সচেতন হলে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোয়ারেন্টিন মেনে চললে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন