রাঙামাটিতে বৈসাবী উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজন
স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্যাঞ্চলের ১০ ভাষাভাষির ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবী ও বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। রোববার থেকে রাঙামাটিতে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হতে যাচ্ছে।
এ আগে শেষ হয়েছে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ৩দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব ও বৈসাবী মেলা। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উদযাপন কমিটি রাঙামাটি জেলা শাখার আয়োজনে রবিবার সকালে এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার ।
প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে পার্বত্যাঞ্চলের চৌদ্দ পাহাড়ি জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ঘরে ঘরে তিন দিনব্যাপী উৎসব পালন করে আসছে মহাসমারোহে। এ উৎসবকে চাকমা রীতি অনুযায়ী আগামী ১২ এপ্রিল ফুলবিজু, ১৩ এপ্রিল মূলবিজু এবং ১৪ এপ্রিল গোজ্যাপোজ্যেদিন (বাংলা নববর্ষ) পালিত হয় ঘরে ঘরে। উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এবং পাড়া-গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান। গৃহীত কর্মসূচী উৎযাপিত হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে। উৎসবটিকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাইং, ত্রিপুরারা বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু এবং অহমিয়া জনগোষ্ঠী বিহু নামে একই সময়ে পালন করে।
বিজু উৎসব উপলক্ষ্যে আবারও শুরু হচ্ছে তিন দিনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি, ফুল ভাসানো, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বলীখেলাসহ ঐতিহ্যবাহী নানা ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আচার-অনুষ্ঠান।
রোববার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আনন্দ শোভাযাত্রা। রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে রাজবাড়ীর আউটার স্টেডিয়াম পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে। বিকাল ৩টায় রাঙামাটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে পাহাড়ি খেলাধূলা। আগামী সোমবার সকালে রাঙামাটি স্টেডিয়ামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আগামী ১২এপ্রিল সকালে ফুল ভাসানো হবে আনুষ্ঠানিকভাবে। এদিন থেকে পাহাড়ের জুম্ম জনগণের ঘরে ঘরে শুরু হবে তিন দিনের মূল উৎসব। এছাড়া রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বর্ষবরণ উৎসব শুরু হবে ১৪এপ্রিল সকাল ৭টা থেকে। দিনব্যাপী চলবে নাচ-গান, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বৈসাবি মেলা।