রাজস্থলীতে পোনা বিতরণ

রাজস্থলীবাসীকে নিজস্ব জলাধারে মাছ চাষে উপজেলা চেয়ারম্যানের আহ্বান

fec-image

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য রফতানি পণ্য বাড়াতে যার যার জলাধার রয়েছে তাতে মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের মাছের কোন অভাব হবে না এবং নতুন রফতানি আইটেম যুক্ত করতেও সক্ষম হব। যার যার জলাধার আছে, তারা যেন সেই জলাধারকে মাছ চাষের আওতায় আনার ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দেন।’

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টম্বর ) সকালে রাজস্থলীতে বিভিন্ন পুকুর জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত ও বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুধু হাওর না, বাওড়, খাল-বিল বিভিন্ন জলাধার এত জায়গা আমাদের। আমার তো মনে হয় যার যেখানে এই ধরনের জলাধার আছে তারা যদি এই মৎস্য উৎপাদন করার দিকে একটু নজর দেন শুধু মাছও না মাছের সাথে কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক সব কিছুই চাষ করা যায়। কাজেই সেগুলো করতে পারলে আমাদের নিজেদের কোন অভাব থাকবে না। রফতানি ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন পণ্য দিতে পারবো।’

তিনি সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং তরুণ প্রজন্মকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

পোনা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ।

মাছের অভয়ারণ্য তৈরির দিকে নজর দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘মৎস্য খাতে গবেষণা বাড়ানোর ওপর ও গুরুত্বারোপ করেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গবেষণালব্ধ উদ্যোগের ফলে বিলুপ্ত প্রজাতির অনেক মাছকে আবার জলাশয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে এবং মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের যে চাহিদা সে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মাছ এখন উৎপাদন করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি পাওয়া যায় মাছ থেকে। যেটা মাংস থেকে হয় না।পুষ্টি আসবে মাছ, ডিম, দুধ ও মাংস থেকে। শুধু আমরা নিজেরাই চাহিদা মেটাবো না, আমরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও পাঠাতে পারবো।’

মাছের নানা বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করে সেটা শুধুমাত্র প্রক্রিয়াজাত করে দিলে শুধু দেশের মানুষ নয়, প্রবাসীরাও নিজের দেশের মাছ গ্রহণ করতে পারবেন বলেও আশা করেন তিনি। আমরা ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ যোগ করেন তিনি।

এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উসচিন মারমা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ছাবেদুল হক, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আবদু সাত্তার, থানা অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরাসহ গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন