রামুতে পিতা-পুত্রকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে পিতা-পুত্রকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রামুর গর্জনিয়ায় সশস্ত্র ডাকাত দলের আক্রমণে ২ জন নিহত হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১ টার দিকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনারপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩) ও মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সন্ত্রাসীরা আনুমানিক ৪০/৪৫ জন। সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তারা প্রথমে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। পরে খুন হওয়া মো. সেলিম দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুত্রের চিৎকার শুনে পিতা এগিয়ে এলে পিতার কপালে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সোমবার রাতে গ্রামের একটি দোকানের সামনে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জাফর আলম ও তার ছেলে সেলিম। গ্রামবাসী আরও জানায়, গরু পাচারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এমনকি সম্প্রতি গরু পাচারকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় আরো একাধিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারারো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কীসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।