রামুতে বৃদ্ধকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা

fec-image

রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলার শিকার মো. আলী হোছাইন (৫৫) কে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে রামু উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টায় রামু চৌমুহনী স্টেশনের উত্তর পাশে কাঁচা বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়,  আলী হোছাইনকে আগেরদিন বুধবার সন্ধ্যায় মারধর করে হামলাকারী চক্রটি। ওইদিন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে বুধবার বিকালে চৌমুহনী স্টেশনে একটি ক্লিনিকে এক্স-রে করাতে যান। সেখানে পথিমধ্যে ২য় দফা হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে মাথায় ছুরিকাঘাত ও লাটি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে আহত আলী হোছাইনকে দেখতে যান।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোছাইন জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দফা মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আলী হোছাইনকে বেশী মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার প্রথম দফা হামলার শিকার হয়ে রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দেন- মো. আলী হোছাইন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- বুধবার সন্ধ্যায় রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী ভুতপাড়া এলাকায় একটি দোকান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে উপূর্যপুরি মারধর করে মধ্যম মেরংলোয়া এলাকার মুফিজুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান ও রশিদ আহমদের ছেলে মো. সোহেল।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার শহরের এসএম পাড়া এলাকার আমির হামজার ছেলে আবদুল গনির সাথে জমি নিয়ে আলী হোছাইনের বিরোধ রয়েছে। এনিয়ে বিজ্ঞ আদালতে জমি সংক্রান্ত মামলা বিচারাধিন আছে। এ বিরোধের জেরে আবদুল গনির নির্দেশে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালিয়েছে।

হামলার শিকার মো. আলী হোছাইনের ছেলে এরশাদুর রহমান জানান, হামলাকারিরা ইতিপূর্বে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছিলো। এনিয়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট এবং গত ২ জানুয়ারি থানায় তারা লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন। একের পর এক হামলার ঘটনায় তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ নিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা ও জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন