রামুর ইউপি সদস্য আয়েশা খানমের শপথগ্রহন

রামু প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৩ নং আসনের (৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আয়েশা খানম চৌধুরী শপথ নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান রামু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবল করিম।

শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ন কবির, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে মাহবুবুল করিম বলেন, ক্ষমতাকে ক্ষমতা হিসেবে দেখলে অপব্যবহারের আশঙ্কাই বেশী থাকে, তাই একে দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হবে। ক্ষমতা যখন দায় বলে বিবেচিত হয় তখন অপব্যবহারের সুযোগ আর থাকে না।

তিনি বলেন, জনগণের সকল দাবি-দাওয়া পূরণের মতো সুযোগ পাবেন না। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যে জনগণকে সন্তুষ্ট রাখতে বেশী বেশী করে মানুষের কথা শুনতে হবে। যাতে তারা আপনার অক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারণা না করে।

শপথগ্রহন শেষে ইউপি সদস্য আয়েশা খানম চৌধুরী বলেন, ইউপি সদস্য হওয়া বড় কথা নয়। জনগণের জন্য কাজ করাই বড় কথা। জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

গত ২৪ জুলাই এ আসনের ইউপি সদস্যা আলহাজ্ব নূর নাহার চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূণ্য হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ৩০ আগস্ট ইউনিয়নের পূর্ব বোমাংখিল গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের সহধর্মিনী আলিয়া আক্তার নিজের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে প্রয়াত ইউপি সদস্যার মেয়ে আয়েশা খানম চৌধুরীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচিত হন।

উল্লেখ্য, আয়েশা খানম চৌধুরী বৃহত্তর গর্জনিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ইসলাম মিয়া চৌধুরীর পুত্রবধু, কক্সবাজার মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আমেরিকা প্রবাসি মো. সাইফুল্লাহ চৌধুরীর ছোট বোন, গর্জনিয়ার বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব উল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী এবং তরুণ গণমাধ্যমকর্মী দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক আজকের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর মা। আয়েশা খানম চৌধুরী ২০০৯ সালে জেলার সেরা নারী উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন