রোহিঙ্গা নিধনের ক্ষুদ্র অংশই আসছে গণমাধ্যমে : আইওএম প্রধান
ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে গণহত্যার পাশাপাশি ধর্ষণের যে অভিযোগগুলো পাওয়া যাচ্ছে, তাকে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএমের মহাসচিব উইলিয়াম ল্যাসি সুইং ‘গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এসব ঘটনার মধ্যে গণমাধ্যমে যা আসছে তা মূল ঘটনার তুলনায় একেবারেই কম।
গতকাল বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে আইওএম প্রধান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেন, সেখানে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার ক্ষুদ্র অংশই প্রকাশ হচ্ছে গণমাধ্যমে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে শত শত কিশোরী, তরুণী ও গৃহবধূ। এই মানবিক সংকটে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় করছে আইওএম।
বিবৃতিতে ল্যাসি সুইং বলেন, আগস্টের পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েক ডজন রোহিঙ্গা নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন আইওএমের চিকিৎসকরা। সে নারীরা যে যৌন সহিংসতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক নিপীড়িনের শিকার হয়েছেন, তা গুরুতর। কিন্তু গণমাধ্যমে যা আসছে তা মূল ঘটনার তুলনায় একেবারেই কম।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা তরুণী-গৃহবধূদের পাশাপাশি অনেক কিশোরীকেও ধর্ষণ করে হত্যা করছে। নিপীড়ন করছে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে।
পুড়িয়ে মেরেছে ঘরে বন্দি করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে। গণধর্ষণের পর জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে অনেক রোহিঙ্গাকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা তরুণী-গৃহবধূদের পাশাপাশি অনেক কিশোরীকেও ধর্ষণ করে হত্যা করছে। নিপীড়ন করছে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে। পুড়িয়ে মেরেছে ঘরে বন্দি করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে। গণধর্ষণের পর জঙ্গলে ফেলে দেওয়া অনেক রোহিঙ্গা
আইওএম প্রধান তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, নারী, শিশু বিশেষভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। বালক-যুবকদেরও নির্যাতনের টার্গেট করা হচ্ছে। সেখানকার রোহিঙ্গারা এমন আরও সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে কেবল লিঙ্গ, বয়স এবং সামাজিক অবস্থানের কারণে।
যৌন সহিংসতার মুখ থেকে পালিয়ে বেঁচে আসা নারীদের আইওএম সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।