রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ২ জন টেকনাফের গাড়ি চালক
কক্সবাজারে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ৪জনের মধ্যে ২জন টেকনাফের নোহা চালক বলে দাবি তাদের পরিবারের। রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসীরা নোহা ভাড়া করে ক্যাম্পে নিয়ে নির্মমভাবে জবাই করে তাদের হত্যা করে! তাদের পরিবার এর সুষ্ঠু দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ৪ জন খুনের মধ্যে দুজন স্থানী বাসিন্দা, রোহিঙ্গা নয়। তারা দু’জনেই নোহা গাড়ির চালাক।
এরা হলেন- টেকনাফ হ্নীলা রংগীখালীর এলাকার দিলদার আহমেদ এর পুত্র নুরুল বশর ও একই এলাকার পশ্চিম সিকদার পাড়ার নোহা চালক নূর হোসেনের পুত্র নুর হুদা ড্রাইভার।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে কি কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়-নিহত নুরুল বশর ও নুর হুদাকে হ্নীলা থেকে রোহিঙ্গারা রিজার্ভ ভাড়া করে নিয়ে কুতুপালং গেলে ভাড়ার টাকা নিয়ে যাত্রীদের সাথে এক প্রকারের তর্কাতর্কির জের ধরে তাদেরকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহত নুর হুদার ভাই ইসমাইলের অভিযোগ। হত্যাকারী যাত্রীরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বলে জানা যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানায় সে৷
এই ঘটনায় ‘আরসা’ গ্রুপের হাতে নিহত হন মুন্না’র ভাই গিয়াস উদ্দিন ও মোহাম্মদ নামের ২জন রোহিঙ্গা।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত ঘটনায় সন্ত্রাসী মুন্না’র ভাইসহ ৪জনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মুন্নার ভাই ছাড়া বাকীদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।