লংগদুতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়ের অভিযোগ: নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবীতে মানববন্ধন

Longodu

 লংগদু প্রতিনিধি:

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাওয়ার দাবীতে উপজেলা সদরে মানববন্ধন করেছে উপজেলাবাসী। শুক্রবার বিকালে লংগদু উপজেলাবাসীর উদ্যোগে উপজেলা সদর প্রধান সড়কে এক ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বিদ্যুৎ সুবিধাবোগী এলাবাসীরা অংশ নেয়। মাববনন্ধন শেষে এক সমাবেশ করা হয়। লংগদু বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম সওদাগর এতে সভাপতিত্ব করেন।

মো. রোকন এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, লংগদু ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফারক আহম্মেদ, মাইনীমুখ ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাইয়ুম আহম্মেদ, বাইট্টাপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোটর সাইকেল চালক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ রানা সবুজ, সাজেদুর রহমান মনির রাইটার, লংগদু বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধক্ষ্য রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, লংগদু উপজেলার এক চতুর্থাংশ এলাকায় বিদ্যুতায়ন হয়েছে।  ক্ষুদ্র পরিসরে বিদ্যুৎ পাওয়ার পর থেকে কয়েক হাজার বৈধ গ্রাহক বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নামে মাত্র বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গড়ে দুই ঘন্টাও থাকে না। যা পাওয়া যায় তাও লো ভেল্টেজ। বিদ্যুতের আশায় বিদ্যুৎ ব্যবহাকারী গ্রাহকগণ আধুনিক যন্ত্রপাতি টিভি, ফ্রিজ, পাম্প মোটর, ফ্যান, কোন কিছুই ঠিকমত চলছেনা। যার কারণে এসব বৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎ ভোগান্তি পোহাচ্ছে দিনের পর দিন।

বক্তারা আরো বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলেও বাড়তি ইউনিট দিয়ে আনুপাতিক হারে বিল করে গ্রাহককে হয়রানী করছে দিঘীনালা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের লোকজন। মিটার দেখে বিল তৈরী করা নিয়ম থাকলে এক্ষেত্রে দিঘীনালা বসেই বিদ্যুৎ বিল করে থাকেন। প্রত্যেক গ্রাহক অজতা বাড়তি বিলের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। লংগদুতে বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব কোন ষ্টাফ না থাকায় গ্রাহকগন তাদের সমস্যার কথা সরাসরি জানাতে পারছেনা। লংগদুতে বিদ্যুতের কাজ কর্ম করেন এমন ২জন ব্যাক্তি ও তাদের পরিচিত স্বজনরা দিঘীনালা বিদ্যুৎ বিভাগের যোগসাজসে এলাকাভিত্তিক অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।

বক্তারা লংগদু সদরে বিদ্যুৎ অফিসটি অবৈধ দখলমুক্ত করে সেখানে লোকবল দিয়ে নিয়মিত অফিস চালু রাখা এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ারও দাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন