লকডাউন বাস্তবায়নে খাগড়াছড়ি প্রশাসনের সতর্ক অবস্থান

fec-image

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন পালন নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণার প্রথম দিনে খাগড়াছড়িতে মাঠে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোন। একই সাথে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, বিজিবি মাঠে নামে।

সকাল থেকে সরকারের নির্দেশনায় লকডাউন সফল করতে গণপরিবহণ, দোকানপাট বন্ধ রাখা ও অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ মাস্ক পরিধানে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে প্রশাসন। এ সময় জনগণকে সচেতন করতে নির্দেশনা ও আইন অমান্যকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

খাগড়াছড়ি সদর জোনের সেনাবাহিনীর টহল দল জেলা সদরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে টহল জোরদার করে সক্রিয় ছিল মাঠে। একই সাথে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে জনগণকে সচেতনতায় কাজ করেন।

খাগড়াছড়ি সদর জোনের ক্যাপ্টেন মো. ফাহিম ফয়সাল সামিন জানান, সরকার ঘোষিত লকডাউন পালন নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। তিনি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া,গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ, ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সে সাথে সকলকে সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী, মো. সাজজাদ হোসেন এবং মো. আশরাফ আলী জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে জনগণের সহযোগিতায় লকডাউনের নির্দেশনা যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যেন করোনা সংক্রমণ রোধ করা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

একই সাথে প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয় ঘুরাঘুরি না করে। বিশেষ প্রয়োজন ঘর থেকে বের হলে যেন অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে সে বিষয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান। যারা আইন অমান্য করবে প্রশাসন তাদের জরিমানা ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে বলে জানান।

অন্যদিকে খাগড়াছড়ি সদর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট ফারুক হোসেন জানান, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। হাসপাতালে যাওয়া রোগী ও কাঁচামাল নিয়ে যারা আসছে তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সব গাড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি করোনায় সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছাড় দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন