লবণের মূল্য বৃদ্ধিতে পেকুয়ার লবণ চাষীদের মুখে হাসি

pic salt2

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় লবণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লবণ চাষীদের মুখে হাসি ফোটেছে। জানা যায় বর্তমান বাজারে লবণের মূল্য আগের চেয়ে দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি লবণের মূল্য ৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আগে সেই লবণ বিক্রয় করা হত কেজি প্রতি ৪/৫ টাকায়। বর্তমানে মণ প্রতি লবণের মূল্য ৩ শত ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কিছুদিন আগে লবণ বিক্রয় করা হত মণ প্রতি ১৫০/১৬০ টাকায়। লবণের দাম কমে যাওয়ায় লবণচাষীরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন। লবণ উৎপাদন বন্ধ করার উপক্রম হয়েছিল। সেই দু:খের কাল পেরিয়ে সুখের কাল দেখা দিয়েছে, ফলে লবণচাষীদের মুখে হাসি ফোটেছে। সেই লক্ষ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে কৃষকেরা লবণ উৎপাদন করতে পেকুয়াসহ উপকূলের বিভিন্ন ইউনিয়নের লবণ মাঠে নেমেছে চাষীরা।

বর্তমানে মাঠে পুরোদমে লবণ উৎপাদন চলছে। অনেক স্থানে এখনো মাঠ তৈরি করতে ব্যস্ত চাষীরা, আবার অনেক জায়গায় মাঠ তৈরি করলেও লবণ উৎপাদন হয়নি এখনো। পেকুয়াসহ কক্সবাজার অঞ্চলের অন্যতম অর্থকারী সম্পদ লবণ। এ লবণ শিল্পের সাথে কক্সবাজার জেলাসহ চট্টগ্রামের আংশিক জুড়ে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ সরাসরি জড়িত। তাদের ব্যবসা ও পেশা লবণ চাষ। তাদের আয়ের উৎস লবণ। বিগত কয়েক বছর ধরে লবণের দাম পতন হওয়ায় এ শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমান মৌসুমের শুরুতেই দাম আকাশ ছোয়া হওয়ায় কাজের গতি বেড়ে গেছে চাষীদের।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার আংশিকসহ চলতি লবণ মৌসুমে প্রায় ৭৫ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। এর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। তবে লবণের জাতীয় চাহিদা রয়েছে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। এ হিসাবে লবণ ঘাটতি তেমন আর থাকেনা। লবণ উৎপাদন জিডিপিতেও ভূমিকা রাখছে। তবে চাষী ও ভোক্তা সংরক্ষণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর বৈষম্য হচ্ছে উৎপাদনকারীদের বেলায়। দেশে বাজারাতকৃত সব কোম্পানির মোড়কজাত লবণ ও কাঁচা লবণের মধ্যে দরের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। মিল মালিক ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো বিশেষ সিন্ডিকেট তৈরি করে লাখ লাখ চাষীদের জিম্মি করে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চাষীরা। লবণ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন