শীতে গোসল না করে কতদিন থাকা যায়?

fec-image

শীত বাড়ছে তো বাড়ছেই। ঠান্ডায় কাঁপছে পুরো দেশ। আর শীত যত বাড়ছে, গোসলের প্রতি আগ্রহ তত কমছে মানুষের। অনেকেই আছেন, যারা শীতের সময়ে গোসল থেকে দূরে থাকতে চান। কিন্তু প্রতিদিন গোসল না করলে কি শরীরের ক্ষতি হয়? অনেকেই বলে থাকেন যে, প্রতিদিন গোসল না করলে শরীরে অসুখ বাসা বাধতে পারে। আসলেই কি তাই? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

বিভিন্ন গবেষণায় গবেষকরা দাবি করেছেন যে, শীতের সময়ে ঠান্ডা পড়বেই! তাই বলে গোসল একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা কিন্তু মোটেই সঠিক কাজ নয়। এর বদলে বরং গোসলের নিয়ম পাল্টে ফেলা যেতে পারে। গোসল কি প্রতিদিন করতেই হবে? এ বিষয়ে গবেষকদের দাবি, প্রতিদিন গোসল করতে হবে, নয়তো অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয় বেশি এ যুক্তি পুরোপুরি ঠিক নয়।

শীতকালে আপনি যদি প্রতিদিন গোসল না-ও করেন তাতে শরীরের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। হজম প্রক্রিয়া বা শরীরের ভেতরের সব ক্রিয়া ঠিকভাবেই চলবে। তাই বলে আবার গোসল পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। এই শীতে একদিন পরপর গোসল করতেই পারেন।

আপনি যদি একসঙ্গে অনেকদিন গোসল না করে থাকেন তাহলে কিন্তু তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর ফলে আপনার ত্বকে নানা ব্যাকটেরিয়া আংক্রমণ করতে পারে। তবে আপনি চাইলে একদিন বা দুইদিন গোসল ছাড়া থাকতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে, তেমন কোনো সমস্যা হবে না। শীত যদি খুব বেশি অনুভূত হয় তবে দুইদিন পর্যন্ত গোসল করার বদলে গা, হাত-পা ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে পারেন। এই অভ্যাস গোসল না করেও আপনাকে পরিষ্কার থাকতে সাহায্য করবে।

গবেষকরা বলেন, শীত খুব বেশি পরলে সপ্তাহে আপনি যদি তিন-চার দিন গোসল করেন, তবে তাই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসল করা জরুরি নয়। তবে চেষ্টা করবেন হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে। নয়তো আপনাকে দেখতে অপরিচ্ছন্ন লাগবে। আবার শীতের সময়ে যখন গোসল করবেন তখন খুব বেশি ঠান্ডা বা গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এই দুই তাপমাত্রার পানিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর বদলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন।

শীতের সময়ে রাতে বা সকালে গোসল করার বদলে চেষ্টা করুন দুপুরের দিকে গোসল করতে। কারণ এই সময়ে শীত অনেকটা কম থাকে। ফলে দুপুরে গোসল করলে ঠান্ডা লাগার ভয় অনেক কম থাকে। শীতে গোসলের আগে গায়ে তেল মেখে নিলেও আরাম পাবেন। এক্ষেত্রে সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আবার যাদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত তাদের তেল ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য পরামর্শ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন