স্পন্ডিলাইটিসের যন্ত্রণা? উপকার পাবেন যেসব নিয়মে

fec-image

অফিসে কাজ করতে কারতে হঠাৎ তীব্র ব্যথা হচ্ছে পিঠ-কাঁধে। অথবা ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেই তীব্র যন্ত্রণা।

এ সব উপসর্গ হতে পারে স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণ। এ রোগ ধরা পড়লে মেনে চলতে হয় কিছু ব্যায়াম ও নিয়ম। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি, হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। শিরদাড়ার উপরেও চাপ ফেলে এই অসুখ। কেবল ব্যথাই নয়, ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো তীব্র যন্ত্রণাও স্পন্ডিলাইটিসের উপসর্গ। এতে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে। তবে ব্যথার হাত থেকে রেহাই পেতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও। কী করলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় মিলবে আরাম?

• ঘাড় বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসার অভ্যাস সবার আগে বদলাতে হবে। তবে দীর্ঘক্ষণ যদি বসে থাকতেই হয় মাঝেমাঝেই উঠে হাঁটাহাঁটি করুন। খানিক ক্ষণ ঘাড়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন। চোখ ও কম্পিউটারের স্ক্রিন যেন সোজাসুজি থাকে, সে ব্যবস্থা করুন।

• স্পন্ডিলাইটিসের থেকে রেহাই পেতে হলে ব্যায়াম ছাড়া উপায় নেই। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যায়াম করুন। বিশেষ ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা ট্র্যাকশন নেওয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়।

• এই রোগের ক্ষেত্রে আপনি কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, সেটাও জরুরি। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকেই স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যায় বালিশ ছাড়া ঘুমান। কখনোই বালিশ ছাড়া ঘুমোবেন না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন, দেখবেন বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডের উপর আরও চাপ পড়তে পারে।

• নিয়মিত গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস করতে হবে। এতে ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যথার জায়গায় একবার গরম পানির শেঁক দিন সঙ্গে সঙ্গেই আবার ঠান্ডা পানির শেঁক দিন। এই পদ্ধতিতেও ব্যথায় উপশম মেলে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য পরামর্শ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন