মালদ্বীপ ও চীনকে নজরে রাখতে লাক্ষাদ্বীপে নৌ ঘাঁটি বানাচ্ছে ভারত!

fec-image

লাক্ষাদ্বীপের আগাতি ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে একটি নৌ ঘাঁটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আইএনএস জটায়ু নৌ ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে মিনিকয়ে। আগামী ৪ বা ৫ মার্চ এ নৌ ঘাঁটির উদ্বোধন করতে পারেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

মিনিকয়ে আইএনএস জটায়ু নৌ ঘাঁটি থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব ৫২৪ কিলোমিটার। শুধু তাই নয়, আগাতি দ্বীপে এয়ারস্ট্রিপ আপগ্রেড করতে চলেছে ভারত। যাতে এটি ফাইটার জেট ও ভারী বিমান চালনায় ব্যবহার করা যায়। এছাড়া, মালদ্বীপ ও চীনের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।

এই নৌ ঘাঁটি উদ্বোধনের সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তেও চড়তে পারেন। আসলে লাক্ষাদ্বীপ ও মিনিকয় দ্বীপে নয় ডিগ্রি চ্যানেলে রয়েছে। যেখান থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এটি উত্তর এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক পথ।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যখন আইএনএস বিক্রমাদিত্য বা বিক্রান্তে মিনিকয় দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হবেন, তখন তার সঙ্গে আরও ১৫টি যুদ্ধজাহাজ থাকবে। মানে পুরো আক্রমণকারী নৌ বহরে একসঙ্গে। এর মাধ্যমে ভারতের নৌ শক্তি সম্পর্কে ধারণা পাবে গোটা বিশ্ব। মালদ্বীপ ও চীনের মতো দেশগুলোতে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো হবে।

আগাতিতে আপগ্রেডেশন শুধু তাই নয়, মিনিকয় এয়ারস্ট্রিপ তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আগতি দ্বীপের এয়ারস্ট্রিপ আপগ্রেড করা হচ্ছে। যাতে ভারতীয় বাহিনী ভারত ও আরব সাগরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এর বাইরে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারি। সমুদ্র সীমান্ত নিরাপদ হবে এবং পর্যটনেরও প্রচার হবে।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্যাম্পবেল উপসাগরে একটি নতুন পরিকাঠামো তৈরি করেছে ভারত সরকার। এই পরিকাঠামো ব্যবহার করছে দেশটির সেনাবাহিনী। পূর্বে আন্দামান এবং পশ্চিমে লাক্ষাদ্বীপে শক্তিশালী মোতায়েন থাকায় ভারতের সমুদ্রসীমা নিরাপদ থাকবে। এছাড়া দুই দ্বীপে পর্যটনও বাড়বে।

এই দুটি প্রধান সামুদ্রিক রুটে যারা যাবেন তারা লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। মিনিকয়ে নৌ ঘাঁটি তৈরি হলেই এই এলাকা ঘিরে চীনা নৌবাহিনীর কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া, সুয়েজ খাল এবং পারস্য উপসাগরের দিকে যাওয়া বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে ৯ ডিগ্রি চ্যানেল অর্থাৎ লক্ষদ্বীপ এবং মিনিকয় রুট দিয়ে যেতে হবে। কোনো জাহাজ যদি সুন্দা ও লম্বক উপসাগরের দিকে যেতে চায়, তাহলে তাকে ১০ ডিগ্রি চ্যানেল অর্থাৎ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে উভয় স্থানেই শক্তিশালী নিরাপত্তা ও নজরদারি স্কোয়াড থাকতে হবে। যে প্রয়োজনে শত্রুকে যোগ্য জবাব দিতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চীন, ভারত, মালদ্বীপ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন