কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

fec-image

কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো বিবরণ পাওয়া না গেলেও কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্ত অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং বেশ কিছু মানুষের আহত হওয়ার পাশাপাশি বাড়িঘর ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

চীনের ভূমিকম্প প্রশাসনের মতে, মঙ্গলবার গভীর রাত ২ টা ৯ মিনিটে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের উশি কাউন্টির পাহাড়ী সীমান্ত এলাকায় ভূপৃষ্ঠের ২২ কিলোমিটার (১৩ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জিনজিয়াং ভূমিকম্প সংস্থার মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি উশি থেকে প্রায় ৫০ কিমি (৩১ মাইল) দূরে অবস্থিথ এবং কেন্দ্রের চারপাশে ২০-কিমি (১২ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে পাঁচটি গ্রাম অবস্থিত। অন্যদিকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৪০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে বলে চায়না আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে।

চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, রাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পটি উরুমকি, কোরলা, কাশগড়, ইইনিং এবং আশপাশের এলাকায় তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর জিনজিয়াং রেলওয়ে বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং ২৭টি ট্রেনের চলাচল ভূমিকম্পে ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

চীনের ভূমিকম্প প্রশাসন বলেছে, ভূমিকম্প ত্রাণ সদর দপ্তর এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে একযোগে জরুরি পরিষেবাগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় উদ্ধার প্রচেষ্টাকে গাইড করার জন্য সেখানে একটি দলও তারা প্রেরণ করেছে।

চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলেছে, বেশ কয়েকটি বিভাগ ত্রাণ প্রচেষ্টার সমন্বয় করছে। দুর্গতদের জন্য সুতির তাঁবু, কোট, কুইল্ট, গদি, ভাঁজ করা বিছানা এবং খাবার গরম করার চুলা সরবরাহ করেছে।

রয়টার্স বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জিনজিয়াংয়ে কয়েকটি বড় ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে। আর নিকটবর্তী কাজাখস্তানে আঘাত হানা সর্বশেষ এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৭ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে জরুরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমাটিতে ভূমিকম্পের পর ঠান্ডা আবহাওয়া সত্ত্বেও বাসিন্দারা তাদের বাড়ি ছেড়ে বাইরে জড়ো হন। এসময় তাদের কেউ কেউ কেবল পায়জামা এবং চপ্পল পরে ছিল। তবে সেখানে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

প্রায় ৩০ মিনিট পর পর কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া উজবেকিস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চীন, বিশ্ব সংবাদ, ভূমিকম্প
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন