সহিংস সড়ক অবরোধে সাড়া দেয়নি রাঙামাটিবাসী


খাগড়াছড়ির সদরে মারমা কিশোরী ধর্ষণ অভিযোগ কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে জুম্ম ছাত্র-জনতার অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা সহিংস সড়ক অবরোধে সাড়া দেয়নি রাঙামাটিবাসী।
সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী সকল প্রকার দূর-পাল্লার যান নিদিষ্ট গন্তব্য থেকে ছেড়ে গেছে। রাঙামাটি শহরে চলাচলের একমাত্র বাহন অটোরিকশা (সিএনজি চালিত) চলাচল করতে দেখা গেছে। দোকান-পাঠ খোলা রয়েছে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নজরদারি রেখেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রাঙামাটির কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে রোববার থেকে সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং অনাকাঙ্খিত ঘটাতে এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন জেলার বিভিন্ন সম্প্রদায়, ধর্মীয়, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এছাড়াও যে কোন ধরণের গুজব এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোছাইন বলেন, রাঙামাটিতে অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক অষ্টম শ্রেণীর এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে, শয়ন শীল নামে এক হিন্দু যুবককে আটক করে। ওই যুবক বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।