সারাদেশে ৫ দিনের জন্য ৬৫৩ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

fec-image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সারাদেশে পাঁচদিনের জন্য ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নেয়া ও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।

ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে ইসি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা- এসব অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।

এসব নির্বাচনী অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনী এলাকায় ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ভোটগ্রহণের পূর্বের দুইদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুইদিন (৫ জানুয়ারি হতে ৯ জানুয়ারি) তারিখ পর্যন্ত মোট পাঁচদিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করলো।

ইসি জানায়, ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী এলাকায় এই নিয়োগপত্রের বিপরীতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করবেন।

ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালনকালে কোনো নির্বাচনী অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেওয়া হলে তৎমর্মে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) বরাবর প্রেরণ করবেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অবমুক্ত করার জন্য সব চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করা হলো।

ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালনকালে কয়েকজন সহকারী সঙ্গে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের নিজ নিজ অফিস প্রধানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট সহকারীরা বিধি মোতাবেক দৈনিক যাতায়াত ভাতাপ্রাপ্ত হবেন।

বর্ণিত ম্যাজিস্ট্রেটদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আদালত পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৯ দিন নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন