সীমান্তের ২৩ পয়েন্টে ইয়াবা হাতবদল: ৬ হাজার ইয়াবাসহ আটক ৫ মিয়ানমার নাগরিক
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ৬ হাজার ইয়াবাসহ পাচঁ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে ঘুমধুম পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বেতবুনিয়া-কচুবনিয়া নামক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, মিয়ানমারের মংডু হারিপাড়া এলাকার সোলেমানের ছেলে আমির হোসেন (৩৮), মো: তাহেরের স্ত্রী মিনারা বেগম (২৫), সিকদারপাড়া এলাকার আব্দুল জাব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৩৮), বমুপাড়া এলাকার মো: ইউনুছের স্ত্রী মাজিদা বেগম (৩৮) ও মগনিপাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের স্ত্রী নুর বানু (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে মিয়ানমারের পাচঁ নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে ঘুমধুম বেতবুনয়িা-কচুবনিয়া স্কুল এলাকায় পৌছলে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাসী করে ৬ হাজার পিস ইয়াব বডি উদ্ধার করা হয়। পরে আটকৃতদের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় স্থানান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে (মামলা নং-৮) দায়ের করেছে ঘুমধুম পুলিশ ফাড়িঁ ইনচার্জ ও অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা এসআই এরশাদ উল্লাহ। অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদ কবির।
এদিকে সম্প্রতি সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, জামছড়ি, দোছড়ি, চাকঢালা নিকুছড়ি, চেরাকুল, ঘুমধুম ইউনিয়নের ঢেকিবনিয়া, তুমব্রু কোনাপাড়া পয়েন্ট হয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে। ইতিপূর্বে এসব এলাকা থেকে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় ২১ জনের নাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি তালিকাও প্রেরণ করে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
যার কারণে তাদের প্ররোচনায় আরো নতুন নতুন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও বহনকারী সৃষ্টি হয়েছে। ঐসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অর্থ যোগান দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনায়নে ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়াও স্থানীয় চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি ইয়াবা নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের লেকেরপাড়, জারুলিয়াছড়ি-সোনাইছড়ি সড়ক, নারিকেল বাগান, রুপনগর, পুরাতন লেকের সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা মোড়, রেস্ট হাউজ রোড়, নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ক্যম্প সংলগ্ন স্টিল ব্রিজ, আশারতলী হয়ে পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার মৌলভীরকাটা, ফুলতলী, কচ্ছপিয়া হয়ে বাইশারী দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা হাত বদল করে আসছে।
এ ছাড়াও দোছড়ি ইউনিয়ন থেকে আসা ইয়াবা নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, গর্জনিয়া বাজার, তিতারপাড়া, বাইশারী সড়ক দিয়ে বিশেষ করে মোটর সাইকেল, সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহণ যোগে পাচার হয়।