সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া সাড়ে ৬’শ পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন

Troler-md20150727160759
টেকনাফ প্রতিনিধি :
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনদ্বীপে আটকা পড়া প্রায় সাড়ে ৬’শ পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন। শনিবার সকাল থেকে ১০টি স্পিড বোট ও ১০টি কাঠের ট্রলার নিয়ে দুপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬’শ পর্যটক টেকনাফে পৌঁছেন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ নৌ-পথে শুক্রবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দেড় হাজার মত পর্যটক আটকে পড়েন।
ফেরত আসা পর্যটকেরা জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনে আরও হাজার খানেক পর্যটক আটকে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, শনিবার সকাল থেকে ১০টি স্পীড বোট ও ১০টি ট্রলারে করে প্রায় সাড়ে ৬’শ পর্যটক টেকনাফে পৌঁছেছেন। দ্বীপে আরো হাজার খানেক পর্যটক থাকতে পারে। তাদের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত দুই দিন ধরে টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ও ট্রলার বন্ধ থাকায় সের্ন্ট মাটিনে বেড়াতে আসা পর্যটকরা আটকা পড়ে।

ফেরত আসা পর্যটকদের মধ্যে রাজশাহীর বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে টেকনাফে ফেরত এসেছি। কি করব আমি বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরি করি কাল আমার অফিসে উপস্থিতি থাকতে হবে, না হলে আমার চাকরি চলে যাবে তাই ঝুকিঁ চলে এসেছি।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, সঞ্চালনশীল মেঘমালার জন্য সাগর উত্তাল থাকতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগর ও নাফনদীতে মাছ শিকার ও পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারনা করেন তিনি।

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম জানান, সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে সের্ন্ট মাটিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম বলেন, ঝুকিঁ নিয়ে না আসার জন্য নির্দেশ দেওয়ার পরও সের্ন্ট মাটিনে আটকা পড়া পর্যটকরা ট্রলার নিয়ে টেকনাফে ফিরছেন। দ্বীপে আরো যেসব পর্যটক রয়েছে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন