স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে চট্টগ্রাম বিভাগে লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল প্রথম 

fec-image

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় এবং লামা উপজেলায় প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের মেয়ে কোয়ান্টারা অংশ নেয় এবং প্রথম হয়। কুচকাওয়াজে দলের কমান্ডার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজিফা আক্তারের নেতৃত্বে বুদ্ধিদীপ্ত প্যারেড নৈপুণ্য মুগ্ধ করেছে স্টেডিয়াম ভর্তি সকল দর্শককে।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজে মাধ্যমিক গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে স্কুলটির ছেলে শিক্ষার্থী কোয়ান্টারা। কবি, গীতিকার ও শব্দ সৈনিক নঈম গওহরের লেখা ‘নোঙ্গর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো’ গানের সাথে তাল মিলিয়ে ডিসপ্লে প্রদর্শন করে স্কুলের ১৫৩ জন শিক্ষার্থী। মনোমুগ্ধকর এই ডিসপ্লেতেও তারা পেয়েছে প্রথম স্থান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিরবীজি ও বান্দরবানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মহান স্বাধীনতা দিবসে লামা উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতাতেও সাফল্য পেয়েছে ছেলে কোয়ান্টারা। লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত প্যারেড প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক গ্রুপে প্রথম হওয়ার পাশাপাশি ডিসপ্লেতেও তারা প্রথম হয়। এবারের ডিসপ্লেতে অংশ নেয় কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ১৭১ জন কোয়ান্টা। অনুপ্রেরণাদায়ী সঙ্গীত ‘চলো এগিয়ে যাব বাধা মানি না’ ও চমৎকার কোরিওগ্রাফির সাথে এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত ডিসপ্লে মুগ্ধ করে হাজারো দর্শককে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল চৌধুরী, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোস্তফা জাবেদ কায়সার এবং উপজেলা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে এবার ৩টি কুচকাওয়াজ ও দুটি ডিসপ্লে দল পারফর্ম করে এবং প্রতিটি দলই প্রথম হয়।

২০০১ সালে মাত্র সাত জন মুরং শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। ২০ বছরের পরিক্রমায় সারা দেশ থেকে আগত জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এখন এখানে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে এই স্কুলের রয়েছে শিক্ষা ও ক্রীড়ায় দেশসেরা সাফল্য। ঢাকায় জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজে তারা প্রথম হয়েছে ২০১৫ থেকে টানা পাঁচ বছর। বুয়েট, মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে কোয়ান্টারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন