পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির উদ্দেশ্য পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল না- প্রসীত বিকাশ খীসা
ফাতেমা জান্নাত মুমু:
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির উদ্দেশ্য পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল না, এর উদ্দেশ্য ভিন্ন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন, ই্উনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা। সোমবার ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত্ব স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতি প্রসিত বিকাশ খীসা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, চুক্তির ১৮ বছরে প্রমাণিত হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও শাসকচক্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে চুক্তি করেছিল। শান্তি প্রতিষ্ঠা বা রাজনৈতিক সমাধান লক্ষ্য ছিল না। এগুলো ছিলো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশে সরকারের সমর্থক নেতাদের প্রদত্ত অঙ্গীকার লোভ দেখানো ফন্দি ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চুক্তি বাস্তবায়ন না করলেও সরকার অন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বসে নেই মন্তব্য করে ইউপিডিএফ এ নেতা আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে সরকার অন্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত। বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করিয়ে ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিগুলোর ওপর সাংবিধানিকভাবে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহের জাতীয় পরিচিতি ও অস্তিত্ব ধ্বংস করতে সকল শক্তি নিয়োজিত করেছে। চুক্তির পর গত ১৮ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর এক ডজনের অধিক বড় আকারের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে। সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে আন্দোলনে বিভেদ ও বিভ্রান্তি ঘটিয়ে পাহাড়িদের দুর্বল করে রাখার পরিকল্পনা করেছে। তা বুঝতে আর কারোর বাকী নেই।
ইউপিডিএফ নেতা প্রসিত খীসা অবিলম্বে রাঙামাটির বগাছড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ নিজ জায়গাজমি ফিরিয়ে দেয়া, পর্যটনের নামে সাজেক-নুনছড়ি-চিম্বুক-কেওক্রাডং পাহাড়ে পরিবেশ ধ্বংসের যে আয়োজন চলছে তা অচিরেই বন্ধ করা, স্থানীয়দের জমি ফিরিয়ে দেয়া এবং বান্দরবানের রুমা-লামা-নাক্ষ্যংছড়ি-আলিকদমসহ রাঙামাটি-খাগড়াছড়ির বিস্তৃত এলাকা জুড়ে যে ভূমি বেদখল বন্ধ প্রক্রিয়া চলছে তা বন্ধের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘চুক্তি’ বাস্তবায়ন না করলেও সরকার তার অন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বসে নেই মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সরকার তার অন্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত। বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করিয়ে ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিগুলোর ওপর সাংবিধানিকভাবে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহের জাতীয় পরিচিতি ও অস্তিত্ব ধ্বংস করতে সকল শক্তি নিয়োজিত করেছে। এ বছর ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক গণবিরোধী ১১দফা নির্দেশনা জারির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে অঘোষিত সেনা শাসনকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।’’