রামুতে বন্দোবস্তকৃত জমি থেকে হতদরিদ্র পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা
রামু প্রতিনিধি.
রামু উপজেলার দক্ষিন মিঠাছড়িতে বন্দোবস্তকৃত খাস জমি থেকে একটি হতদরিদ্র পরিবারকে উচ্ছেদ করে জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রভাবশালী একিট চাঁদাবাজ চক্র। এই চক্রটি বিভিন্ন সময় মানুষকে উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ আদায় করার রেকড রয়েছে। সর্বশেষ চাঁদাবাজ চক্রের চাঁদা না দেওয়ায় চাঁদাবাজরা পিটিয়ে আহত করেছে হতদরিদ্র এক গৃহবধূকে। হামলার পর থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
আহত গ্রহবধুর ভাস্যমতে, ২০০১ সালের ২৭ জুন ভূমিহীন হিসেবে বন্দোবস্তী মামলামূলে (নং-৩৭৭/০০-০১) ৪৩ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত পান রামুর দক্ষিন মিঠাছড়ি চাইল্যাতলী গ্রামের মৃত কাদের হোছনের ছেলে লাল মিয়া ও তার স্ত্রী শামসুন্নাহার। এরপর থেকে তারা জমিটিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষসহ ভোগ দখল করে আসছেন। লাল মিয়া জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী তাদের অসহায়ত্বের সুযোগে জমিটি জবরদখলের চেষ্টা চালায়। জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রভাবশালী চক্রটি আর্তকিত ভাবে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। জমিতে থাকতে হলে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে যেকোন উপায়ে জমি দখলের হুমকিও দেয় তারা।
লাল মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহার জানান, গত সোমবার বেলা ২টার দিকে চাঁদাবজরা দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া জনুয়াপাড়ার নাজির হোছনের ছেলে মনজুর আলম, জাফর আলমের ছেলে আবদুল করিম, মেহের আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ছুরুত আলমের ছেলে ছলিম উল্লাহ, মৃত অছিয়র রহমানের ছেলে আবদু শুক্কুর ও মো. সিদ্দিক, গোলাম ছোবহানের ছেলে কামাল, আবদুল ছোবহানের ছেলে নুরুল হক, মৃত হাছনের ছেলে শহিদুল্লাহ, নুর হোছনের ছেলে এস আলমসহ অনেকে পুকুরে মাছ ধরার চেষ্টা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে জবরদখলকারিরা তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ হামলায় জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় এবং বিজ্ঞ আদালতে বিভিন্ন মামলা বিচারাধিন রয়েছে।