মাতামুহুরী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে মসজিদসহ শতাধিক বসতি
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী লক্ষ্যারচর, কাকারা ও কৈয়ারবিল অংশে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরের শতাধিক বসতবাড়ি ভাঙ্গন ও হুমকির মুখে পড়েছে।
লক্ষ্যারচর জেলে পাড়া অংশে নদীতে হেলে পড়েছে ১টি মাদ্রাসা ও ১টি মসজিদ। প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করলেও দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যারচর ও কৈয়ারবিল অংশের মাঝামাঝি লক্ষ্যারচর জেলে পাড়ায় জেলেপাড়া জামে মজিদের নিকটে বসানো হয়েছে শ্যালো মেশিন।
ওই মেসিন দিয়ে দিনরাত ধরে উত্তোলন করে যাচ্ছে বালু। স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের জনৈক ফোরকানের মালিকানাধীন মেশিনটির পাহারায় থাকেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
একইভাবে স্থানীয় আরো তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগে উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, হাজীপাড়া মসজিদের পাশে বসানো মেশিনটির মালিকের কাছ থেকে মাসুহারা নেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় চলছে দিনরাত বালু উত্তোলনের কাজ।
এদিকে এটি ছাড়াও নদী থেকে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন আরো তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিরামহীন ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় তীব্র নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। লক্ষ্যারচরে বসতবাড়ির নিকটে পৌঁছেছে নদী ভাঙ্গন।
অপরদিকে কৈয়ারবিলের দ্বিপকুলেও নদী ভাঙন তীব্র আকার দেখা গেছে। বিশেষ করে যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থা বলে দাবী করছেন স্থানীয় লোকজন।
লক্ষ্যারচর ইউপির চেয়ারম্যান জিএম কাইছার জানান, পরিকল্পিত-অপরিকল্পিত যা-ই হউক কোনভাবে বালু উত্তোলন বৈধ নয়। সরকারি কাজের জন্য ঠিকাদার যারা তারা পারেন, তাও নিয়ম মেনে তুলতে হবে। অন্য কেউ বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই।
তিনিও আরো বলেন, যত্রযত্র বালু উত্তোলনের কারণে মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যাচরের একটি অংশ নদীর তল দেশে পড়ার আশংকা রয়েছে।