শর্ত মেনে পরিবারের সাথে সাজা ভোগ করছে পানছড়ির রাজ্জাক
দি প্রবেশন অফ অফেনডার্স অর্ডিনেন্স ১৯৬০ সালের সেকশন পাঁচ এর আলোকে শর্ত সাপেক্ষে এক আসামিকে এক বছরের জন্য প্রবেশন দেয় খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম।
সম্প্রতি মাদক মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের এক বছরের প্রবেশন দেয়া হয়েছে। যার অর্থ ঘরে থেকেই পরিবার পরিজনের সাথে শর্ত মেনে সাজা ভোগের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য সব কাজ করা। এ আলোচিত সাজা ভোগ করার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের অবশ্যই মানতে হবে। সেগুলো হচ্ছে ১. মাদকের সুফল ও কুফল সম্পর্কে মানুষকে বুঝানো, ২. পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ৩. সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলার বাহিরে যেতে পারবে না ৪. মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। সাজাপ্রাপ্ত আসামি এসব শর্ত মানছে কিনা তা দেখার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের একজন প্রবেশন কর্মকর্তাকে পরিদর্শণ করে ছয়মাস পরপর আদালতে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রবেশন কর্মকর্তা কৃতি বিজয় চাকমা জানান, পানছড়িতে এসে রাজ্জাক ও তার মা-বোনের সাথে কাউন্সিলিং করেছি। এ সময় পাড়া-প্রতিবেশীরা তার আমূল পরিবর্তনের কথা জানান। তবে নির্দিষ্ট সময়ে এক দিন আগেও শর্ত ভঙ্গ করলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে পূনরায় প্রচলিত আইন অনুসারে কারাগারে পাঠানোর বিধান রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুর রাজ্জাক পানছড়ি উপজেলার পাইলট ফার্ম গ্রামের আব্দুল আলমের সন্তান। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ধারায় সরকার বাদী হয়ে মামলা রুজু হয়েছিলো ২০১৯ সালে। বর্তমানে সে স্বাভাবিকভাবেই দিনমজুরী করে সংসার চালাচ্ছেন। এ রায়ে খুঁশি আসামির স্বজন থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ জনগণ।