অসহায় এক মায়ের পাশে দাঁড়ান
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
মৃত্যু পথযাত্রী ছেলেকে ফিরে পেয়েও অর্থের অভাবে পরিপূর্ণ চিকিৎসা করাতে পারছেনা এক মা। সহায় সম্বল সব বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে চিকিৎসা চালিয়ে ছেলেকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। কিন্তু আর সামান্য কয়েকটি টাকার জন্য পরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলতে পারছেননা তিনি।
নিরাশ হয়ে অসহায়ত্বের কথা জানালেন মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ির ৫নং ওয়ার্ড মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা চায়না বেগম (৪৫)। বছর কয়েক আগে তার স্বামী ফজল হক চলেগেছে তাদের ছেড়ে আর যোগাযোগ নেই। তিন ছেলে আর দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে রুবেল (২০) সংসারের দেখাশুনা করতেন। দিনমজুর কাজ করে কোন মতে সংসার চালাতেন রুবেল। নিজে লেখাপড়া তেমন করতে না পারলেও ছোট ভাইবোনদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করতে স্বপ্ন দেখতেন। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো রুবেল।
রুবেলের মা চায়না বেগম জানিয়েছেন, কিছুদিন চট্টগ্রামে সড়কের কাজ করার পর হঠাৎ করে গত ফেব্রুয়ারিতে রুবেলের পেটে ব্যথা অনুভব হয় এবং শরীর ফুলে যায়। বাড়িতে আসার পরে খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক দেখান তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় মৃত্যু পথযাত্রী রুবেলকে নিকটাত্মীয়দের সহযোগিতায় ময়মনসিংহে প্রাইভেট হাসপাতালে ডা. মাহমুদ জাবেদ হাসান (মেডিসিন ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ) কে দেখান। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন কিন্তু অর্থের অভাবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দামী ৬টি ইনজেকশন ও ঔষধ ক্রয় করতে পারছেননা। এতে মাঝপথে থমকে গেছে চিকিৎসা। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশার আলো দেখলেও অর্থের অভাবে তা মলিন হতে চলেছে।
রুবেলের সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল আজিজ।বর্তমানে পরিবারটিতে উপার্জন করার কেউ না থাকায় পরিবারটি দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে বলেও জানান তিনি।